Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পেকুয়ার চার ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলের পানি বাড়ছে

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার চারটি ইউনিয়নে মঙ্গলবার ভোর ছয়টা থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি বাড়ছে। ডুবতে শুরু করেছে বাজারের দোকান-পাঠ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতঘর। ভেসে যাচ্ছে মাছের খামার। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক। গত সোমবার ভোরে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা এলাকায় দেড়শত ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে উজান থেকে নেমে আসা মাতামুহুরী নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্ব মেহেরনামার ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে পেকুয়া সদর, শিলখালী, বারবাকিয়া ও টৈটং ইউনিয়নে প্লাবিত হচ্ছে। শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়, হোসনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, টৈটং উচ্চ বিদ্যালয়, মেহেরনামা উচ্চ বিদ্যালয়, পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মেহেরনামা আলমাছিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে ও বিভিন্ন কক্ষে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বারবাকিয়া বাজার, চড়াপাড়া বাজার, সাঁকোরপাড় বাজার, গুরা মিয়া চৌধুরী বাজারের অন্তত পাঁচ শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। পেকুয়া উপজেলার চার ইউনিয়নের অন্তত ৪৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৯০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষ নৌকা নিয়ে চলাচল করছে।

গোঁয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের নিচতলায় গবাদি পশু বেঁধে রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় তলায় বন্যার্ত মানুষজন আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ বলেন, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের তিনটি স্থানে বেড়িবাঁধ কেটে দেয়া হয়েছে যাতে পূর্ব মেহেরনামার ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে ঢোকা পানি সহজে বের হয়ে যেতে পারে। তবে পাহাড়ি ঢলের ¯্রােত বেশি থাকায় পানি কমছে না।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, পেকুয়ার বন্যার্তদের জন্য জেলাপ্রশাসন ১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। পেকুয়ায় ৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রিতদের শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। প্লাবিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

0Shares