Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পেকুয়ায় বন্যায় বসতবাড়ি ডুবে যাওয়ায় ৩৬ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই, ২৬ হাজার গ্রাহক এখনও অন্ধকারে

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় গত সোমবার মধ্যরাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত গত ৩৬ ঘন্টা পেকুয়ার ৪২ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বঞ্চিত ছিলেন। তবে বুধবার সন্ধ্যার দিকে পেকুয়া সদরের চৌমুহনীসহ কয়েকটি এলাকার ১৬ হাজার গ্রাহক বিদ্যুত পেয়েছেন বলে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ দাবি করছে।

পেকুয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের এজিএম দীপন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার মধ্যরাতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্যার পানিতে বসতবাড়ি ডোবার সঙ্গে বিদ্যুতের মিটার ও তার ডুবে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

দীপন চৌধুরী বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় পেকুয়ার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া হয়। এখন অন্তত ১৬ হাজার মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বন্যার পানি নেমে গেলে অন্যান্য এলাকাতেও বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করা হবে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, ভারি বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢল নেমে পেকুয়ায় বন্যা দেখা দেয়। এছাড়া পূর্ব মেহেরনামা ও বাঘগুজারা বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢলের পানি প্রবেশ করে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েন অন্তত এক লাখ মানুষ। সোমবার সন্ধ্যায় মানুষের বসতঘরে পানি ঢুকতে শুরু করে। ওই সময় থেকে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

বারবাকিয়া বাজারের মা স্টেশনারী দোকানের মালিক আনিসুর রহমান বলেন, বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় পেকুয়া চৌমুহনীতে বিদ্যুত দেয়া হলেও আমাদের সংযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অথচ বারবাকিয়া ও শিলখালী এলাকায় বন্যার পানি নেমে গেছে।

শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শেখ ফরিদুল আলম বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলেও বিদ্যুতের দেখা নেই। এতে জনগন ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

শিলখালীর মাঝেরঘোনা এলাকার রফিক উদ্দিন বলেন, ঘর থেকে বুধবার সকালে বন্যার পানি নেমে গেছে। ঘর পরিস্কার করতে হচ্ছে। কিন্তু অন্ধকারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এজিএম দীপন চৌধুরী বলেন, বিদ্যুতের লাইন যাচাই করে সংযোগ স্বাভাবিক করতে একটু সময় লাগছে। আশা করছি, বৃহস্পতিবারের মধ্যে বিদ্যুতের সব গ্রাহক সংযোগ পাবেন।

0Shares