Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পেকুয়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১৫১ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা

কক্সবাজারের পেকুয়ায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুটি মামলা রুজু হয়েছে। একটি মামলা বিশেষ ক্ষমতা আইনে অন্যটি পুলিশের উপর হামলার ঘটনায়। দুটি মামলার বাদি পেকুয়া থানার উপপরির্দশক (এসআই) মফিজুল ইসলাম।

পুলিশ বলছে, দুটি মামলার আসামি একই। প্রত্যেকটি মামলায় সুর্নিদিষ্ট ১৫১জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রত্যেকটিতে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০০০-১১০০জনকে।

মামলার বাদী পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুফিজুল ইসলাম বলেন , গত মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া বাজারে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গায়েবানা জানাজা শেষে ফেরার পথে জামায়াতের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্যসহ ১৫জন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাঁরা পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।

তিনি আরও বলেন , পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুটি মামলা রুজু হয়েছে । দুটি মামলাতেই পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও পেকুয়া সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর নুরুজ্জামান মঞ্জুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। ২ ও ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে যথাক্রমে বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বদিউল আলম ও পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর আবুল কালাম আজাদকে। মামলার আসামি আরও ১৪৮ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। দুইটি মামলার প্রত্যেকটিতে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে ১০০০-১১০০জনকে।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুটি মামলা রুজু হয়। তবে এসব মামলায় কোনো গ্রেপ্তার নেই। আসামিদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে।

পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও পেকুয়া সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর নুরুজ্জামান মঞ্জু বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। গায়েবানা জানাজা শেষে আমি বাড়িতে চলে আসি। পথে পুলিশের সঙ্গে কাদের সংঘর্ষ হয়েছে তার কিছুই জানি না। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে কারা হামলা করেছে তা সনাক্ত করা হোক।

0Shares