মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদÐ পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের চকরিয়ায় জামায়াত কর্মী নিহতের ঘটনায় ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তিনটি মামলা রুজু হয়েছে। আজ বুধবার মামলাগুলো রুজু হয়।
চকরিয়া থানার পুলিশ জানায়, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা রুজু হয়েছে। দুটি মামলার আসামি একই, ৭৫জন করে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে দুই হাজার থেকে তিন হাজার জনকে। মামলার বাদি হয়েছেন চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল ফোরকান।
এদিকে চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল বারী পাড়ার বাসিন্দা জামায়াত কর্মী মো. ফোরকানুর রহমান নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী নুরুচ্ছফা বেগম বাদি হয়ে ২০০০-২২০০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ফোরকানুরের স্ত্রী নুরুচ্ছফা বেগম মুঠোফোন ব্যবহার করেন না। তবে নিহত ফোরকানুরের ভাইপো সাহাবউদ্দিন প্রথম আলোর কাছে মুঠোফোনে দাবি করেন, তাঁর চাচি মামলার বিষয়টি জানেন না। গত মঙ্গলবার বিকেলে গুলিতে নিহত হওয়ার পর রাতে থানায় ও হাসপাতালে তাঁর চাচির কাছ থেকে পুলিশ একাধিক স্বাক্ষর নিয়েছিল। সম্ভবত সেসব স্বাক্ষর মামলায় ব্যবহার করেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ কথা বলতে রাজি হননি। চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব চন্দ্র সরকার বলেন, ফোরকানুরের স্ত্রী অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বিশেষ ক্ষমতা আইন ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৭৫জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে।