Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সাঈদীর গায়েবানা জানাজা/চকরিয়ায় পুলিশের করা মামলায় চার সাংবাদিকও আসামি

মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা দুটি মামলায় চার সাংবাদিকও আসামি হয়েছেন। গতকাল বুধবার অর্ন্তঘাতমূলক নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল ফোরকান বাদি হয়ে ১৫১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও দুই থেকে তিন হাজারজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দুটি দায়ের করেন। এসব মামলায় দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি আব্দুল মজিদ, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ ও পূর্বদেশ পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি এ কে এম ইকবাল ফারুক, কক্সবাজারের স্থানীয় দৈনিক কক্সবাজার সংবাদ পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি একেএম বেলাল উদ্দিন ও দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার উপকূলীয় সংবাদদাতা এ এম ওমর আলীকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে ওমর আলী চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

একেএম ইকবাল ফারুক বলেন, ‘গত ২৫ বছর ধরে পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছি। কখনও এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি। রাজনৈতিক মামলায় রাজনৈতিক নেতারা আসামি হচ্ছেন, সেখানে সাংবাদিক টেনে আনার দরকার কী ছিল পুলিশের।’

চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হক বলেন, ‘চারজন পেশাদার সাংবাদিককে আসামি করায় পুলিশের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি। সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছে। ওই দিনের ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই সাংবাদিকেরা জড়িত নয়। দ্রæত মামলা থেকে তাঁদের বাদ দেওয়ার দাবি জানাই।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, ‘ওইসব সাংবাদিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণে উঠে এসেছে। এরপরও যদি অধিকতর যাচাই-বাচাইয়ে তাঁদের সম্পৃক্ততা প্রমাণ না হয় তাহলে অভিযোগপত্রে বাদ দেওয়া হবে।’

এদিকে পুলিশের করা দুটি মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুছা ইবনে হোছাইন বিপ্লবকে। এছাড়াও এসব মামলায় খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান জহিরউদ্দিন মোহম্মদ বাবার, চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আমীর আরিফুল কবির, সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন, জেলা জামায়াতের সদস্য হেদায়েত উল্লাহ, চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুস সালামকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাঈদীর গায়েবানা জানাজায় অংশ নিয়ে জামায়াত ইসলামীর নেতারা পুলিশকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে আহত করে। এসময় পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আসামিরা বিভিন্ন উষ্কানিমূলক ও সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

0Shares