Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দুই হাজার টাকা দিলেই পেকুয়ার সংরক্ষিত বনে উঠছে পাকা দালান

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া রেঞ্জের আওতাধীন পহরচাঁদা বিটের শিলখালী ইউনিয়নের সবুজ পাড়া এলাকায় বন বিভাগের সংরক্ষিত এলাকায় দুই হাজার টাকার বিনিময়ে পাকা দালান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। টাকা লেনদেনের এ কাজে ব্যবহার হচ্ছেন খোদ বনবিভাগের ফরেস্ট গার্ড সামশুল হক ও হেডম্যান মোক্তার মাঝি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, ফরেস্ট গার্ড সামশুল হক ও হেডম্যান মোক্তার মাঝিকে টাকা দিলে বনের সংরক্ষিত
এলাকায় সহজে স্থায়ী ভবন নির্মাণ করা যায়।

সরেজমিন দেখা যায়,শিলখালী ইউনিয়নের সবুজ পাড়া এলাকায় সংরক্ষিত বনের জায়গায় জয়নাল, তৌহিদ ও মোহাম্মদ ইসলাম নামের তিন ব্যক্তি পাহাড় কেটে দালান নির্মাণ করছেন। তাঁরা ছাড়াও সম্প্রতি ওই এলাকায় ইতিমধ্যে একাধিক দালান বাড়ি নির্মাণ করেছেন কয়েকজন। পহরচাঁদা বিটের এক কিলোমিটারের মধ্যে বেশ কয়েকটি ভবন নির্মিত হলেও রহস্যজনক কারণে নীরব ভুমিকা পালন করছেন বিট কর্মকর্তা মো. শাহ আলম। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা রক্ষা করার জন্য বনবিভাগের কর্মকর্তা থাকলেও অল্প টাকার বিনিময়ে তারাই অনুমতি দিচ্ছেন পাহাড় কেটে দালান নির্মাণ করার। এভাবে শিলখালীর সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অলিতে-গলিতে পাহাড় কেটে গড়ে উঠেছে একাধিক দালান বাড়ি। এতে পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।

সংরক্ষিত বনের জায়গায় দালান বাড়ি নির্মাণ করছেন এমন তিন ব্যক্তির মধ্যে জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বনবিভাগকে দুই হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। ফরেস্ট গার্ড সামশুল হক ও হ্যাডমেন মোক্তার মাঝি আমার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়েছেন। তবে তাঁরা চার হাজার টাকা চেয়েছিলেন। আমি দুই হাজার টাকা দিয়ে মানিয়েছি। আমার পাশে তৌহিদ নামের এক ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ করছেন তাঁরা সেখানেও গিয়েছিলেন।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে ফরেস্ট গার্ড সামশুল হক বলেন, আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিলে আপনাদের পাঁচ পয়সা যেন দিতে পারি সেই ব্যবস্থা করে টাকা নিই। আপনি আমার অফিসের দিকে আসেন। প্রয়োজনে আমি গাড়ি ভাড়া দিবো।

পহরচাঁদার বিটের হেডম্যান মোক্তার মাঝি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বনবিভাগের জায়গায় দালান করতে কাউকে অনুমতি দিয়ে টাকা নিইনি। এই বিষয়ে মিয়া সাহেবের সাথে কথা হয়েছে, দেখি কি করা যায় আপনাকে জানাবো।

পহরচাঁদা বিট কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, বনের জায়গায় দালান বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে তা আমি জানি না। মোক্তার মাঝি ও সামশুল হক যদি আমার নাম ভাঙিয়ে টাকা নিয়ে বনের জায়গায় বাড়ি নির্মাণের সুযোগ দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর জানানো হবে।

0Shares