রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ওয়াগনার যোদ্ধাদের আনুগত্যের অঙ্গীকারনামায় সই করতে বলেছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ডিক্রিতে তিনি এ আদেশ দেন। রয়টার্স লিখেছে, ওয়াগনার ও অন্যান্য বেসরকারি সামরিক সংগঠনগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে অঙ্গীকারনামায় সই করানোর নির্দেশনার মানে হলো, এগুলোকে শক্তভাবে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাওয়া।
গত ২৩ আগস্ট রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ভাড়াটে সেনাদের ওই গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন নিহত হন। এর পরই প্রশ্ন ওঠে, শত শত সেনা নিয়ে গঠিত তাঁর বাহিনীটির ভাগ্যে আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে!
কয়েক মাস আগে ইউক্রেন যুদ্ধে হঠাৎই বিদ্রোহ করে বসেন প্রিগোজিন। পুতিন এ বিদ্রোহকে ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এ প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, প্রিগোজিনের মৃত্যুতে ক্রেমলিনের হাত রয়েছে। তবে ক্রেমলিন বলছে, এটা ‘ডাহা মিথ্যা কথা’।
এদিকে রাশিয়ার বেলগ্রেড অঞ্চলের গভর্নর শনিবার বলেছেন, সীমান্তবর্তী রুশ শহর উরাজভোতে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে ইউক্রেন। শহরটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। এতে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে খারকিভে রুশ গোলাবর্ষণে অন্তত দু’জন নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ সিনেহুবভ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। চলমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিশ্বাস, তারা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার একটি শক্ত প্রতিরোধ ভাঙতে সক্ষম হয়েছে। এতে তারা দ্রুত সামনে এগোতে পারবে।