নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ার ফিসারিঘাটে মাছ ধরার একটি ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১জন জেলের মধ্যে আইয়ুব আলী (৫৭) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোররাত চারটার দিকে রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এর আগে গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শহরের নুনিয়াছড়া ৬ নম্বর ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। আইয়ুব আলী চকরিয়া পৌরসভার পশ্চিম মন্ডলপাড়ার তরছঘাট এলাকার মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে।
চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুস শফি জেলে আইয়ুব আলীর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আইয়ুব আলীর পরিবারে এক সময় মাছ ধরার ট্রলার ছিল। সেই সূত্রে তিন যুগের বেশি সময় ধরে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। দগ্ধ হওয়ার পর তাঁকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চমেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। শনিবার দুপুর দুইটার দিকে মরদেহ চকরিয়ার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে।’
জানা গেছে, শুক্রবার ভোররাতে সাগরে মাছ শিকার শেষে ট্রলারটি বাকঁখালী নদী মোহনার নুনিয়াছড়ার ৬ নম্বর ফিসারিঘাটে ফেরে নোঙর করেছিল। সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ ট্রলারে আগুন লেগে যায়। এতে ট্রলারের ১১জন জেলে দগ্ধ হয়। দগ্ধের ১১জনের শরীর প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রলারে রান্নার করার জন্য রাখা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ট্রলারটির মালিক স্থানীয় সেলিম বহদ্দার।
আয়ুব আলী স্ত্রী রাবিয়া বেগম মুঠোফোনে বলেন, ‘সাগর থেকে মাছ শিকার করে ফেরে শুক্রবার সকালে ফোন দিয়েছিলেন।খোঁজখবর নিয়ে বাড়ি আসার কথাও বলেছিলেন।গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এখন সব শেষ হয়ে গেছে। তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসারে এখন অন্ধকার নেমে এসেছে।’