No reporter name available.
নিজস্ব প্রতিবেদক:
২৯ অক্টোবর হরতাল ও টানা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচিতে পেকুয়ায় আওয়ামী লীগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোরতার কারণে বিএনপি মাঠে নামতে পারেনি। এতে বিএনপির সিনিয়র নেতারা নিজ দলের কর্মীদের কাছেই হেনেস্তার শিকার হচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের তৃণমূলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, গত ১ নভেম্বর পেকুয়া বাজারে ও পেকুয়া চৌমুহনীতে পেকুয়া থানা পুলিশের দুটি দল অবরোধ কর্মসূচি ঠেকাতে দায়িত্ব পালন করছিল। এরমধ্যেই বিকেল তিনটার দিকে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইনের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পেকুয়া চৌমুহনী থেকে অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের করে। একই সময়ে পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুটের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল পেকুয়া ডিসি রোড থেকে বের হয়ে পেকুয়া বাজারের মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ সড়ক দিয়ে চলে যায়। দুটি মিছিলকেই ছত্রভঙ্গ করতে র্যাব ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে মিছিল করলেও পুলিশের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। পেকুয়া বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কারণে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল করতে না পারায় পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে তাঁরা মিছিল বের করেছেন।
পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থানের কারণে বিএনপি হরতালে পিকেটিং ও অবরোধে রাজপথে নামার সাহস করেনি। তবে গত ১ নভেম্বর হঠাৎ কিভাবে প্রকাশ্যে পেকুয়ার প্রাণকেন্দ্রে বিএনপি মিছিল করেছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল শেষ করে চলে যাওয়ার সময় আমার দলের একজন কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দারকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।