Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সাকিবকে আউট করে ম্যাথুস দেখালেন, তোমার টাইম শেষ!

সাকিব আল হাসানকে ফেরাতে বহু চেষ্টা করেছে শ্রীলঙ্কা। একের পর বাউন্স দিয়েছেন লঙ্কান পেসাররা, কথার খোঁচা আর শারীরিক অঙ্গভঙ্গি তো ছিল! শেষ পর্যন্ত সাকিব ফিরলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের বলে। প্রতিশোধ নিয়ে লঙ্কান অলরাউন্ডার সাকিবকে খোঁচা দেওয়ার লোভটা সামলাতে পারেননি।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের সময় সাকিবের আবেদনের কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম টাইমড আউট হয়েছেন ম্যাথুস। ব্যাটিং করতে নামার সময় বেশি নেওয়ায় মাঠ আম্পায়ার মরিস এরাসমাসের কাছে আবেদন করেছিলেন সাকিব। নিজের হেলমেটের স্ট্র্যাপ ছেঁড়ার যুক্তি দেখিয়েও সাকিবের কাছে আবেদন তুলে নেওয়ার আবেদন করেছিলেন ম্যাথুস, কিন্তু সাকিব তাতে কান দেননি। এই ঘটনার পর থেকেই সাকিবকে ঘিরে অগ্নিশর্মা হয়ে ছিলেন লঙ্কান খেলোয়াড়েরা।

সপ্তম ওভারে লিটন দাস ফেরার পর উইকেটে এসেছিলেন সাকিব। তখন থেকেই যত রকমভাবে সম্ভব সাকিবকে উত্ত্যক্ত করে গেছেন লঙ্কান ফিল্ডার। লঙ্কান বোলারদের শর্ট বল আর চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে শুরুতে ধীরে সুস্থে এগিয়েছেন সাকিব। উইকেটে থিতু হওয়ার পর খুলেছেন হাত।
হাত খুলে খেলে যখন সেঞ্চুরির সুভাস পাচ্ছিলেন সাকিব, তখনই আঘাত হানেন সেই ম্যাথুস। লঙ্কান অলরাউন্ডারের স্লোয়ার বল সাকিবের ব্যাটে খোঁচা লেগে চলে গেল শর্ট এক্সট্রা কাভারে। চারিথ আসালাঙ্কা ক্যাচ নিতে দেরি করেননি। ৬৫ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৮২ রান করে সাজঘরের পথ ধরলেন সাকিব।
এই প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষাতেই যেন ছিলেন ম্যাথুস। সাকিব যখন ফিরছেন তখন হাতের কবজিতে সময় দেখানোর মতো করে ইঙ্গিত করলেন, তোমারও টাইম শেষ! সাকিব সেদিকে নজরই দেননি। হতাশা নিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
ফেরার আগে অবশ্য লঙ্কানদের জয়ের মানসিকতা ভেঙে গুড়ে দিয়ে গেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সহঅধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৬৯ রান। বিশ্বকাপে তৃতীয় উইকেটে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। সাকিবের পর শান্তও নষ্ট করেছেন সেঞ্চুরির সুযোগ। সেই ম্যাথুসের বাইরে বলে ভেতরে টেনে বোল্ড হয়েছেন ৯০ রানে। ১০১ বলে ১২ চারে এই বিশ্বকাপে নিজের সেরা ইনিংস খেলে গেছেন শান্ত। যখন সাজঘরে ফিরছেন, বাংলাদেশের রান তখন ৪ উইকেটে ২১১। এরপর মুশফিকুর রহিম (১০) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে (২২) হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ যখন ফেরেন তখন বাংলাদেশে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৫ রান। হাতে ছিল ৪ উইকেট।

0Shares