এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া
চকরিয়ায় একটি মহিষ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় জব্দকৃত গাড়ির মালিকানা দাবি করে আদালতে আবেদন জমা দিয়েছেন নুর জাহান (৫০) নামের এক নারী। পরে তাঁর আবেদন শুনানীকালে চুরি মামলা রুজুর তারিখের সঙ্গে গাড়ির কেনার স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিপত্রের তারিখের অমিল খোঁজে পান আদালত। এধরণের কাগজ জালিয়াতির ঘটনায় আদালত আবেদনকারী ওই নারীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মো.জাহিদ হোসাইন একটি জিআর মামলার ( নং ৪৪৩/২৩) শুনানী শেষে এ আদেশ দেন। অভিযুক্ত নারী নুর জাহান চকরিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ভরামুহুরী মসজিদপাড়া এলাকার আক্তার আহমেদের স্ত্রী।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কর্মরত কোর্ট উপপরিদর্শক (সিএসআই)
নাসির আহমেদ। তিনি বলেন, এক লাখ ২০ হাজার টাকা দামের একটি মহিষ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় চকরিয়া থানা পুলিশ নীল রঙের একটি মিনি পিকআপ (কক্স-১১-০৩২১) জব্দ করে। এ ঘটনায় মহিষ মালিক বাদি হয়ে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চকরিয়া থানায় একটি মামলা (নং ২২) রুজু করেন।
তিনি বলেন, মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন থাকলেও গতকাল বুধবার নুর জাহান নামের এক নারী আবেদনকারী পরিচয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জব্দকৃত গাড়ির মালিকানা দাবি আবেদন জমা দেন। পরে এ বিষয়ে শুনানীকালে আদালত দেখতে পান গাড়ি কেনার লিখিত স্ট্যাম্পের সঙ্গে চুরির ঘটনায় থানায় রুজু করা মামলার তারিখের অমিল রয়েছে। পাশাপাশি স্ট্যাম্পে প্রদত্ত গাড়ি কেনার চুক্তিপত্রের তারিখের সঙ্গে স্ট্যাম্প কেনার তারিখের মধ্যে একবছর তফাৎ রয়েছে।
সিএসআই নাসির আহমেদ বলেন, আবেদনকারী কতৃক আদালতে জমা দেওয়া গাড়ির কেনার কাগজে (চুক্তিপত্রে) স্ট্যাম্পে তারিখ জালিয়াতির বিষয়টি আদালতের কাছে সন্দেহ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তিনি আদালতের কাছে উল্লেখিত বিষয়ে সদুত্তর দিতে না পারায় আদালত জালিয়াতির ঘটনায় তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি কাগজ জালিয়াতির ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকলে তা তদন্ত পুর্বক আদালতকে জানাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।