কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদের সমথর্কদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের নেতৃত্বে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সালাহ উদ্দিন আহমদ। নবী হোছাইন বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের অনুসারী।
আজ বুধবার দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগের নেতা-নেতা-কর্মীরা বলেন, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর আজ বুধবার বিকেল চারটায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদ চকরিয়ায় ফিরেন। তাকে বরন করতে চকরিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা হারবাং এলাকায় জড়ো হন। হারবাং যাওয়ার পথে সাহারবিলের রামপুর এলাকায় সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে সাহারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হকসহ অন্তত ১২জন নেতা-কর্মী আহত হন। একই সঙ্গে বহরের অন্তত ৯টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক আবু জাফর মোহাম্মদ সাদেক জানিয়েছেন, সাহারবিলের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। যার মধ্যে এনামুল হককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে। তার অবস্থা গুরুতর।
আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমার শোডাউনে আগত নেতা-কর্মীদের পথে পথে বাঁধা, হামলা ও ভাংচুর চালাচ্ছেন দলের মনোনয়নবঞ্চিত সংসদ সদস্য জাফর আলমের লোকজন। সাহারবিলে জাফর আলমের অনুসারী চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।’
অভিযোগ সম্পর্কে সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিনা উস্কানিতে আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে চেষ্টা চলছে।