কলেজছাত্র আসহাবুল করিমকে খুনের প্রতিবাদে ও আসামিদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কক্সবাজারের পেকুয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের সামনের সড়কে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁর সাক্ষাত পাননি মানববন্ধনকারীরা। পরে তাঁরা ফিরে যান।
গত ১ ডিসেম্বর রাত আটটার দিকে মুঠোফোন কেনাবেচার দ্বন্ধের জের ধরে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনা এলাকায় মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে আসহাবুল করিমকে হত্যা করা হয়। আসহাবুল করিম কক্সবাজার সিটি কলেজের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার মকসুদুল করিমের ছেলে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান, শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক জাকির হোসেন হাওলাদার, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত হোসেন, পেকুয়া উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি মুজিবুল হক চৌধুরী, নিহত আসহাবুল করিমের বড় ভাই আসাদুল করিম, এফ এম সুমন, আমিনুল ইসলাম, সাইমুন হোসাইন, সালমান সাকি প্রমুখ।
মানববন্ধনে আসহাবুল করিমের এসএসসি ব্যাচ ২০১৭ এর বন্ধুরা, পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অংশ নেন। এর আগে ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় খুনীদের ফাঁসির দাবিতে পেকুয়া চৌমুহনীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছিলেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে পেকুয়া থেকে কোনাখালীর মরংঘোনায় ডেকে নিয়ে উপর্যপরি ছুরিকাঘাত ও কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আসহাবুলকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরা চরম পৈশাচিকতা চালিয়েছে আসহাবুলের ওপর। নিহত হওয়ার পর তাঁর শরীরের ক্ষতবিক্ষত ছবি দেখে কাঁদে নাই এমন মানুষ নেই। আসহাবুলের খুনিদের ফাঁসির দাবি জানান তাঁরা।
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আসহাবুলকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে তাঁর বাবা মকসুদুল করিম বাদী হয়ে ১২জনের নাম উল্লেখ করে ও তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামীদেরও দ্রুতসময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।