মুঠোফোনে কথা বলতে গিয়ে বিদ্যুতের ‘হাই ভোল্টেজ’ তারে জড়িয়ে কক্সবাজারের চকরিয়ায় আশরাফুল জান্নাত ওরফে এ্যানি (১৮) নামের এক গৃহপরিচারিকার মৃত্যু হয়েছে।
আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে চকরিয়া পৌরসভার বিমানবন্দর সড়কের সায়মা প্লাজা নামক একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে এ ঘটে।
নিহত আশরাফুল জান্নাত চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছার বাসার গৃহপরিচারিকা ছিলেন। তিনি কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের দক্ষিণ আমজাখালী গ্রামের মো. শামীমের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন বলেন, শুক্রবার বেলা একটার দিকে মুঠোফোনে কথা বলতে বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠেন আশরাফুল জান্নাত। এই বিল্ডিংয়ের ছাদের উপর দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুত লাইন গেছে। তিনি কথা বলতে বলতে অসতর্কতায় বিদ্যুত তারের সঙ্গে জড়িয়ে যান। এতে স্পৃষ্ট হয়ে ছাদে ছিটকে পড়েন তিনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা প্রথম আলোকে বলেন, আশরাফুল জান্নাত তিন বছর ধরে আমার বাসার গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করছেন। আমাদের অজান্তে কারও সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলতে ছাদে উঠেন আশরাফুল। এই ছাদ দিয়ে গেছে হাই ভোল্টেজ বিদ্যুত তার। অসতর্কতায় সেই তারে জড়িয়ে মারা যান মেয়েটি।
২০১৯ সালের ৩০ আগস্ট পঙ্খীরাজ জলদাশ (১৩) নামের এক তরুণ সায়মা প্লাজার ছাদের হাই ভোল্টেজ বিদ্যুত তারে জড়িয়ে মারা গিয়েছিল। স্থানীয় লোকজন বলছে, বিল্ডিংয়ের উপর দিয়ে হাই ভোল্টেজের বিদ্যুত লাইন থাকলেও কোনো ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। একারণে একের পর এক মৃত্যু ঘটছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বিদ্যুত তারে জড়িয়ে নিহত হওয়া আশরাফুল জান্নাতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।