গত ১৬/০১/২৪ইং স্থানীয় দৈনিক কক্সবাজার ও ইনানী পত্রিকা এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার গ্রাম উজানটিয়া গোদার পাড়া এলাকার মানববন্ধনের ভিডিও ও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন কুরূচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। যা মানহানি ছাড়া কিছুই নয়। একটি মিথ্যা বিষয়কে কতটুকু রং ছিটালে এমন একটি সংবাদ রচনা করা যায় তা এই সংবাদটি না দেখলে বিশ্বাস হতো না। আমি দ্যার্থহীন ভাষায় বলছি সংবাদটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।
আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী, স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রানালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু ও বহু মামলার আসামি আরাফাত উদ্দিন, স্থানীয় সন্ত্রাসী রিয়াদুল ইসলাম এবং তার আরেক ভাই রিফাতুল ইসলামের নেতৃত্বে আমার গ্রামের কয়েকজন নিরীহ, সহজ-সরল মানুষকে টাকার বিনিময়ে দাঁড় করিয়ে দিয়ে এ বানোয়াট মানববন্ধন করিয়েছে। তাদের এ-ই ডাহা মিথ্যা অভিযোগে আমি সাইবার ক্রাইম নিরাপত্তা আইনের আশ্রয় নিব ইনশাআল্লাহ। মূলত রিফাতুল ইসলাম চকরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। সেখানে বিভিন্ন ছাত্রদের উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি করাসহ ও পরীক্ষায় অনৈতিক সুবিধা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে। এমনকি কুতুবদিয়ার জনৈক আবু হানিফ (০১৮৫৪-৫৭৩১৯৩) ব্যক্তির কাছ থেকে সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে। এসবসহ আরও বিভিন্ন অভিযোগে তার ঐ খন্ডকালীন শিক্ষকের চাকুরীটা চলে যায়। এরপর রিফাত ও তার ভাইদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে সুতাচুরা মৌজায় আমার সাব ইজারাকৃত প্রজেক্টে (বাধা খাল নামে পরিচিত)। তারা গত ১২ ডিসেম্বর ২৩ইং থেকে আমার প্রজেক্টের কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দিয়ে ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং মারধর করে। আমি যেহেতু চট্টগ্রামে একটা স্বনামধন্য হাসপাতালে চাকরি করি উক্ত ঘটনায় সহায়তা চেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, পেকুয়া থানা পুলিশ কন্ট্রোল রুম, ওসি মহোদয় এবং এএসপি সার্কেল মহোদয়কে মোবাইলে এবং স্ব-শরীর উপস্থিত হয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ দিই ও ২৪/১২/২৩ইং তারিখে উপরে উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এজাহার জমা করি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রশাসন ব্যস্ত থাকায় সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে অবৈধভাবে কুম জাল, ফাঁদ জাল, থাই জাল বসিয়ে চাষের মৃগেল জাতীয় মাছ, বাগদা, গলদা, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রকারের মাছ আহরণ করে আমার ৪০-৪৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে এবং অদ্যবধি তাঁরা অবৈধভাবে মাছ আহরণ করেই যাচ্ছে। মূলত প্রতারক রিফাত কল্যাণ পার্টির কক্সবাজার জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নামের পদবী ব্যবহার করে এসব অপকর্মে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ দলের জেলা কমিটির কোনো অস্তিত্ব নেই বলে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় কল্যাণ পার্টির দপ্তর সম্পাদক আল আমিন ভূঁইয়া সাহেব।
আমি একজন নিরীহ ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী হয়ে স্থানীয় সর্বস্তরের প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতিকারীদের প্রজেক্ট ডাকাতি এবং জবরদখল কারীর ভুয়া বিবৃতিতে বিভ্রান্তি না হয়ে তাদের আইনের আওতায় আনতে সহযোগিতা করুন। প্রয়োজনে সরকারি বিভিন্ন বিভাগের তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনার কারণ উদঘাটন করে আরাফাত-রিফাত-রিয়াদগংয়ের বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান চালিয়ে আমার ৪০-৪৫ লক্ষ টাকার প্রজেক্টে নিরাপদ ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করতে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
হুমায়ুন কবির বাদল
নূরীপাড়া, উজানটিয়া, পেকুয়া, কক্সবাজার।