Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভোটের দিনের নাশকতা মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পেকুয়া সদর পূর্বজোন বিএনপির সভাপতি শাহনেওয়াজ আজাদ (৫০)। শাহনেওয়াজ পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যানও।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার ডাবল ব্রিজ নামক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজেশ বড়ুয়া বলেন, বিএনপি নেতা শাহনেওয়াজ আজাদকে তার নিজ গ্রামের কাছাকাছি ডাবল ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দ্বাদশ ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে নাশকতাসহ মোট নয়টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে অন্তত চারটি মামলায় পরোয়ানা রয়েছে।

পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক( তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ও এর আগের দিন ডাবল ব্রিজ এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি, গাড়ী ভাঙচুর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলার মামলার তিন নম্বর এজাহারনামীয় আসামি বিএনপি নেতা শাহনেওয়াজ আজাদ। তাকে গ্রেপ্তারের পর আজ মঙ্গলবার বিকেলে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগের দিন ও নির্বাচনের দিন পেকুয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে। তাঁরা পেকুয়া সদেরর বিভিন্ন মোড়ে ও স্টেশনে অন্তত ১৪-১৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এছাড়া নির্বাচনী সরঞ্জামবাহী গাড়িতেও হামলা করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদের গ্রামের বাড়ি পেকুয়া সদরের সিকদারপাড়া এলাকায় দুদিন ধরে টায়ার জ্বালিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে নেতা-কর্মীরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার অভিযোগও উঠে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এতে পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ গুলিবিদ্ধ হয়ে এখন পর্যন্ত ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া বিএনপির নেতা-কর্মীরা মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করেছে। এসব কারণেই এক লাখ ৩৩হাজার ভোটের মধ্যে পেকুয়ার ৪৪টি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৩০হাজার ৪৭১ জন ভোটার।

0Shares