👤 নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ার এক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে সমালোচনা করছেন।
কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেয়া ছাত্রের নাম হামিম মো. ফাহিম (২৫)। তিনি পেকুয়া চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দা শাহাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির এলএলবির শিক্ষার্থী। ফাহিম পেকুয়া সদরে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন।
ফাহিমের কয়েকজন বন্ধু বলেন, ফাহিমের বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা নেই। আদালতে দায়ের করা একটি মামলায় ফাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে নেয়ার পথে অমানবিক আচরন করা হয়েছে। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের মতো তাকে কোমরে বড় রশি বেঁধে আদালতে নেয়া হয়। এতে ফাহিমের হাজারো ছাত্র মানসিক আঘাত পেয়েছেন।
পুলিশ ও ফাহিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মারামারি মামলায় পরোয়ানায় গত শনিবার রাতে ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল রোববার পেকুয়া থানা-পুলিশের একটি দল কোমরে রশি বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করে। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ফাহিমের বাবা শাহাব উদ্দিন বলেন, গত ডিসেম্বরের শুরুতে আমার ছোট ছেলের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করা হলে পুলিশ এসে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। পরে ফাহিম বাদী হয়ে মামলা করে। এরপর প্রতিপক্ষের লোক গোপনে আদালতে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা করলে ওয়ারেন্ট হয়ে যায়। মামলা, পরোয়ানা-এসবের কিছুই আমরা জানতাম না।'
চকরিয়া অ্যাডভোকেট’স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, প্রথম কথা হলো ফাহিম একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র। তাঁর বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা নেই। একটি মারামারি মামলায় গ্রেপ্তার করে এভাবে কোমরে রশি বাঁধা বা ডান্ডাবেড়ি পরানো যায় না। একজন ছাত্রকে কোমরে রশিবাঁধা অমানবিক।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘নিরাপত্তা বলয়ে আসামিকে থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।' এর বেশি কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এম এম রকীব উর রাজা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।