তিনদিন বন্ধ থাকার পর গত বুধবার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। তবে এই দুইদিনে দর্শনার্থীর উপস্থিতি পার্কসংশ্লিষ্টদের হতাশ করেছে। গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার পার্কটি ঘুরে দেখেছেন মাত্র ৬৮জন। অথচ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুইদিনে অন্তত সাড়ে তিন থেকে চার হাজার দর্শনার্থী পার্কটি ঘুরে দেখেন।
পার্কের কর্মকর্তারা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে কারফিউ থাকায় গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনদিন বন্ধ ছিল পার্ক। গত বুধবার থেকে দর্শনার্থী প্রবেশ শুরু হয়। কিন্তু ওই মাত্র ৫০জন দর্শনার্থী পার্কটি ঘুরে দেখেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পার্কটি ঘুরে দেখেন ১৮জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, বাঘের খাঁচার সামনে মাত্র দুজন দর্শনার্থী রয়েছেন। হরিণ, জেব্রা, হাতির বেস্টনীর সামনে কেউ নেই। কয়েকজন বনকর্মী প্রাণীদের সেবা শুশ্রূষা করছেন। প্রাণীরা নিজেদের মতো সময় কাটাতে ব্যস্ত।
সাফারি পার্কের ইজারাদার মেসার্স জিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জিয়াউদ্দিন বলেন, আন্দোলনের কারণে কারফিউ জারি করায় তিনদিন পার্ক বন্ধ ছিল। এরপর বুধবার থেকে খুললেও দর্শনার্থী একেবারেই নেই। বুধবার মাত্র ৫০জন দর্শনার্থী ও গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার ১৮জন দর্শনার্থী পার্কে এসেছেন।
স্থানীয় দর্শনার্থী আব্দুর রহিম ও তোফায়েল আহমেদ বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে পার্ক দেখতে এসেছেন। এখানে বাঘের খাঁচার সামনে আমরা দুজন ছাড়া কেউ নেই। দর্শনার্থী কম আসার পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন, গত অর্থ বছরে পার্কে প্রবেশ মূল্য ছিল ৫০টাকা। গত ১৫দিন ধরে প্রবেশ মূল্য নেওয়া হচ্ছে ১০০টাকা। এক লাফে প্রবেশমূল্য দ্বিগুণ হওয়ায় দর্শনার্থী কমে গেছে। দ্বিতীয়ত, কারফিউর কারণে দর্শনার্থী প্রবেশ কমে গেছে।
সাফারি পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, শ্রাবণ মাসে বৃষ্টি থাকে। এজন্য দর্শনার্থীও কম। তবে বৃষ্টি কমে এলে পার্ক আবারও সরগরম হবে। পার্কের প্রবেশ মূল্য দ্বিগুণ করার পেছনে যুক্তি দিয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, এটি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ সব দর্শনীয় স্থানের প্রবেশ মূল্য বাড়ানো হয়েছে। সে হিসেবে সাফারি পার্কেরও প্রবেশ মূল্য বাড়ানো হয়েছে।