No reporter name available.
কক্সবাজারের পেকুয়ায় রহিম উল্লাহ (৫৪) নামের এক লবণ ব্যবসায়ীকে মারধর করে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদ হাসান ও মো. আরিফ নামের দুই যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। মোহাম্মদ হাসান মগনামা ইউনিয়ন যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক, আরিফ মগনামা ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি।
ভুক্তভোগী রহিম উল্লাহ মগনামা ইউনিয়নের শুদ্ধখালী পাড়ার মৃত ফজর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা
মেজর জেনারেল (অব) রুহুল আলম চৌধুরীর জায়গা-জমি দেখভালের দায়িত্ব রয়েছেন এবং লবণের ব্যবসা করেন।
[video width="848" height="478" mp4="https://samudrasangbad.com/wp-content/uploads/2024/08/5a2f83ee-f355-4d33-b643-f584f3cc6bef.mp4"][/video]
গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাজী মার্কেট এলাকার আবু তালেবের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। তাঁরা লবণ ব্যবসায়ীকে আবু তালেবের দোকানে বেঁধে রেখে এ চাঁদ আদায় করেন।
ভুক্তভোগী রহিম উল্লাহ বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পেকুয়া বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে কাজী মার্কেট এলাকায় পৌঁছি। তখন হাসান ও আরিফ আমার সামনে এসে বলে আপনার সাথে কথা আছে। এসময় তাঁরা আমাকে আবু তালেবের দোকানে পিছনের কক্ষে নিয়ে যান । পরে তারা ওই কক্ষের দরজা বন্ধ করে হঠাৎ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত আমাকে কক্ষে বেঁধে রাখার হুমকি এবং মারধর করতে থাকেন। পরে এক যুবকের মাধ্যমে কাজী মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী আসহাব উদ্দিনকে ডাকতে পাঠাই। তিনি আসার পর আমাকে ভেতরে আলাদা করে বলেন, এখন থানাও নাই, পুলিশও নেই। প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা পাওয়া যাবে না। তাঁদের কিছু টাকা দিয়ে চলে গেলে ভালো হবে। তখন আমি ২০ হাজার দিতে চাইলে তাঁরা রাজি হননি পরবর্তীতে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে আমাকে ছেড়ে দেন। তিনি আরও বলেন, এ বিষয় আমি দুইজনের তাঁদের দলের সিনিয়র নেতাদের অবগত করেছি। কিন্তু কোন সুরাহা পাইনি।
বক্তব্য জানতে যুবদল নেতা হাসান ও আরিফকে মুঠোফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। পরে পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুটের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনিও ধরেননি।