শিল্পকলার পরিচালক পদে রয়েছেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। এরই মধ্যে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে নিয়মানুযায়ী আয়োজন হয় শপথ পাঠের। সেখানে হয় কোরআন তেলাওয়াত। আর এ নিয়েই পরদিন সামাজিক মাধ্যমে আপত্তি তুললেন জ্যোতিকা জ্যোতি; নতুন সরকার গঠন নিয়ে বৈষম্যের প্রশ্ন তুললেন তিনি।
ফেসবুকে জ্যোতি লেখেন, ‘শুভ দিন! নতুন বাংলাদেশের প্রথম দিন। ভয়ংকর কটা দিনের পর, বাক স্বাধীনতার প্রথম দিনে এই লেখার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা উদযাপন শুরু করলাম!’
জ্যোতি লেখেন, ‘বৃহস্পতিবার সরকার শপথ নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে শুধু কোরআন পাঠ হলো; অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ বাদ দেওয়া হয়েছে। যেসব অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয় সেসব অনুষ্ঠানে কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। এটাই আমরা দেখে আসছি সারাজীবন। ব্যক্তিগতভাবে আমি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ পাঠের প্রয়োজনীয়তা দেখিনা। শপথ অনুষ্ঠানে কোরআন ছাড়া বাকি ধর্মগ্রন্থগুলো বাদ দেওয়া হলো কীসের ভিত্তিতে? কী উদ্দেশ্যে?’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে জ্যোতি লেখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত সরকার শুরুই করলো বৈষম্য দিয়ে। যেকোনও সরকারের মেয়াদ নির্ধারিত থাকে। অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের মেয়াদ কতোদিন? সেটা জানান হচ্ছেনা কেন? কবে জানব আমরা?’
এর আগে হাসিনার পতনের পর ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন জ্যোতি। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে নাকি কেঁদেছিলেন বলে দাবি করে সেই গণমাধ্যম। সেখানে জ্যোতি বলেছিলেন, দেশের পরিস্থিতি খুবই কঠিন। বাংলাদেশে এখন সংখ্যালঘুদের প্রতি অত্যাচার হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙা হচ্ছে।
জ্যোতিকা জ্যোতি আয়না, নন্দিত নরকে, অনিল বাগচির একদিন, লাল মুরগির ঝুঁটিসহ অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র এবং টিভি নাটকে কাজ করেছেন। এছাড়াও সম্প্রতি তিনি গৌতম কৈরীর বঙ্গমাতা চলচ্চিত্রে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০০৪ সালে লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় সেরা দশে স্থান করে নিয়েছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি।