👤 নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়া সদরের কহলখালী খাল অবশেষে খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে এক গোল টেবিল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গোলটেবিল বৈঠকটিতে পেকুয়ার অর্ধশত সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং বক্তব্য দেন।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, সামাজিক সংগঠক সাংবাদিক এস এম হানিফ, পেকুয়া সরকারি জিএমসি ইনস্টিটিউশনের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) পেকুয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এফ এম সুমন, বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রিকের প্রতিনিধি হোসনে মোবারক আরমান, ধরা'র দেলোয়ার হোছাইন, শিলখালী নবতরুণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল ইসলাম জিসাদ, নুর-আয়েশা খাঁন ফাউন্ডেশনের আমজাদ হোসেন, বাপার বাহার উদ্দিন।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, পেকুয়ার কহলখালী খালটি শত বছরের পুরোনো। এই খাল দিয়ে পেকুয়া সদরের পানি নিষ্কাশন হয়। গত ১৫ বছর ধরে পেকুয়া সদরকেন্দ্রিক নগরায়নের ফলে পেকুয়া বাজার থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত অংশটি দখল ও দূষণে ভরাট হতে থাকে। একেবারে প্রাণ যায় যায় অবস্থা খালটির। এর ফলে বৃষ্টি হলেই পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে পেকুয়া সদরের মানুষ বন্যার শিকার হচ্ছে। ডুবছে উপজেলা পরিষদ, থানাসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ মানুষের বসতি। এতে প্রতিবছরই মানুষ ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন খালটি খননের উদ্যোগ নিতে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ফোরামে দাবী তুলতে থাকে। গণমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হলেও প্রশাসনের কেউ কর্ণপাত করছে না।
পরে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু গোল টেবিল বৈঠকে জানান, উপজেলা পরিষদের সামনের অংশ থেকে পেকুয়া বাজার পর্যন্ত খালটির অংশ বেসরকারি সংস্থা রিকের উদ্যোগে খনন করবে বলে আমাদের কথা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে রিক একটি প্রকল্প গ্রহণ করবে বলে সম্মত হয়েছে। কহলখালী খালের বাকি অংশটুকুতে আগামী বুধবার থেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করা হবে। এতে পেকুয়ার সকল সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে কাছে চান।