কক্সবাজারে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট এক যুবক গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ সাইমুম সরওয়ারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতার নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে দলের ১৫০ নেতা-কর্মীকে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুল হককে। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কায়সারুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান তারেক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ; পৌরসভার প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন সেতু, খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের নাম রয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৪ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শহরতলির লিংক রোড এলাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে শিক্ষার্থী ও জনতা। সমাবেশ শেষে ফেরার সময় পৌরসভার ঘুনগাছতলা তিন রাস্তার মোড়ে আসামিরা শিক্ষার্থী ও জনতার ওপর অতর্কিত গুলি ছোড়েন। গুলিতে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের বুকের ডান পাশে গুলি লাগে। তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক গুলির আঘাতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
মামলার বাদী কক্সবাজার সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মিয়া। তিনি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ৪ আগস্ট গুলিতে নিহত ওই যুবকের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বাদী হয়ে যে মামলাটি করা হয়েছে, এর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
0Shares