👤 সমুদ্র সংবাদ ডেস্ক
মেহেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ও জেলা জজ আদালতে বাদী হাসনাত জামান মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলা প্রত্যাহারের আবেদন আদালত আমলে নিয়েছেন। এখনো নির্দেশনা দেননি বিচারক।
গত সোমবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত জামান বাদী হয়ে জেলার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ও জেলা জজ আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে সদর থানাকে এজাহার রেকর্ডভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন ফরহাদের স্ত্রী সৈয়দ মোনালিসা, ভগ্নিপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাবলু বিশ্বাস, সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুস সামাদ, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মারুফ আহমেদ বলেন, ১৬৮ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানাকে রেকর্ডভুক্ত করার আদেশ দিয়েছিলেন। যেহেতু মামলা বাদী নিজেই আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। আদালত নতুন করে আবারও নির্দেশ দেবেন।
মামলার বাদী হাসনাত জামান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা করেছিলেন, এমন ব্যক্তিদের নামে মামলা করার কথা বলে জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুনের ছোট ভাই আইনজীবী মারুফ আহমেদ তাঁকে (হাসনাত জামান) দিয়ে ১৬৮ জনের নামে মামলা করিয়েছেন। মামলায় সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সৈয়দ মোনালিসা ও তাঁর ছোট ভাই জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন, ভগ্নিপতি বাবলু বিশ্বাসসহ অন্য ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। কিন্তু ওই আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলায় কোনো ভূমিকা রাখেননি। এ কারণে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।