পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। রাওয়ালপিণ্ডি টেস্টে অলআউট হওয়ার আগে ৫৬৫ রান তুলেছে নাজমুল হাসান শান্তর দল। ফলে ১৬৭ রানের লিড পেল বাংলাদেশ।
রাওয়ালপিন্ডিতে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল স্বাগতিক দল। জবাবে নেমে ১৬৭.৩ ওভারে ৫৬৫ রানে থামে টিম টাইগার্স। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটি। এর আগে ২০১৫ সালে খুলনায় ৯ উইকেটে ৫৫৭ রান করেছিল বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বড় সংগ্রহের জবাবে দেশটির বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ ৫৬৫ রান করল বাংলাদেশ।
মুশফিকের বিদায়ের পর কেবল ৩৭ রান যোগ করতে পারল সফরকারীরা। এর বেশিরভাগ করলেন শরিফুল। দুটি করে ছক্কা ও চারে তার রান ১৪ বলে ২২।
৩টি উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সফলতম বোলার নাসিম শাহ। দুটি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আলি ও খুররম শাহজাদ।
৯ রানের আক্ষেপে ডাবল সেঞ্চুরি মিস মুশফিকের
চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও পারলেন না মুশফিকুর রহিম। ১৯১ রান করে মোহাম্মদ আলীর বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটকিপারের কাছে। মুশফিকের আউটে ভেঙেছে মিরাজের সঙ্গে ১৯৬ রানের দুর্দান্ত জুটি। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া মুশফিক ৩৪১ বলে ১৯১ রানে ফিরেছেন। তাতে ছিল ২২টি চার ও ১টি ছয়। ২২ চার ও ১ ছয় মেরেছেন মুশফিক।
বাংলাদেশ দলের প্রথম ইনিংসের রান ১৬২ ওভারে ৭ উইকেটে ৫৩১। মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত ৬৭ রানে। বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে ৮৩ রানে।
পাকিস্তানের রান পাহাড় পেরিয়ে বাংলাদেশের লিড
৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে পাকিস্তান ইনিংস ঘোষণা করার পর রাওয়ালপিন্ডিতে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে টাইগার ব্যাটারদের কল্যাণে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সফরকারীরা। মুশফিকের সেঞ্চুরিতে লিডের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৩৭ ওভার শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪৫০ রান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ২ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। ১৩৯ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক। অন্য প্রান্তে ৩৯ রানে অপরাজিত মিরাজ।
আগের দিন ব্যাট করতে নামা মুশফিক সাদমান ইসলামের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি দিয়ে শুরু করেন। সাকিবের সঙ্গে জুটি জমে না উঠলেও লিটনকে নিয়ে যোগ করেন ১১৪ রান। থিতু থাকা দুই ব্যাটার সকালে নেমে সাবলীলভাবেই এগুনোর আভাস দিচ্ছিলেন। তবে লিটন আগের দিনের ছন্দ টানতে পারেননি। ৫৬ রান করে তিনি ফেরেন নাসিম শাহর বলে।
লিটনের বিদায়ের পর আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে থাকেন মুশফিক। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলে সবচেয়ে বেশি রান করা ডানহাতি এই ব্যাটার পরিস্থিতিতির দাবি মেটান দারুণভাবে। ২০৩ বলে ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন মি. ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই ব্যাটার। ৯ মাস পর টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম পাকিস্তান সফরে অসাধারণ এক সেঞ্চুরির দেখা পায়।
এর আগে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনে ৪২১ রানে পিছিয়ে থেকে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক। এই জুটির ৯৪ রানে ভর করে বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ৫০ রানে ও সাদমান ইসলাম ৯৩ রানে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসানও। সাকিবের বিদায়ের পর জুটি বাধেন মুশফিক ও লিটন দাস। এই দুই ব্যাটারই তুলে নেন জোড়া অর্ধশতক। এই দুই ব্যাটারের ৯৮ রানে ভর করে ৯২ ওভারে ৩১৬ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করে নাজমুল শান্তর দল