👤 সমুদ্র সংবাদ ডেস্ক
ইসরায়েলি বাহিনী ও লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
আজ রোববার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, গত জুলাই মাসের শেষ দিকে সংগঠনের কমান্ডার ফুয়াদ শোকর হত্যার বদলা নিতে তারা ইসরায়েলে বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এর মধ্য দিয়ে হামলার ‘প্রথম পর্যায়’ সম্পন্ন হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলের ১১টি সামরিক ঘাঁটি ও ব্যারাক নিশানা করে ৩২০টির বেশি রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে মেরোন ঘাঁটিসহ অধিকৃত গোলান মালভূমির চারটি সামরিক স্থাপনা রয়েছে।
আরও পড়ুন
[embed]https://samudrasangbad.com/4787/[/embed]
এর আগে আজ সকালের দিকে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল জানায়, হিজবুল্লাহ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল—এমন তথ্য পেয়ে তারা আগেভাগে হামলা চালিয়েছে।
লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা জেইনা খোদর বলেন, ইসরায়েলের হামলার বেশির ভাগের লক্ষ্যবস্তু ছিল সীমান্ত এলাকা। ১২০ কিলোমিটার সীমান্তের সর্বোচ্চ পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে হামলা হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইসরায়েলে জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।
ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে লোকজনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে বোমা হামলার সময়কার আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।