Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন শেখ হাসিনা-পেকুয়ায় সালাহউদ্দিন

শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ।

আজ বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় কক্সবাজারের পেকুয়া চৌমুহনীতে তাঁকে দেয়া গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অভিযোগ করেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শত সহস্র শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, সেই স্বাধীনতা অর্থবহ করে তুলতে হবে। এই স্বাধীনতা ধরে রাখতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। আমরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান। কিন্তু আমরা সবাই বাংলাদেশি। একটাই পরিচয় আমরা এদেশের নাগরিক। সকল নাগরিকের মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার,  সকল রকমের সাংবিধানিক অধিকার আমরা অর্জন করেছি। এই অর্জন করার জন্য শত সহস্র শহীদদের রক্তদান করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা কোথায়, স্বৈরাচারী হাসিনা কোথায়, বাংলাদেশের মাটি থেকে পালিয়ে গেছে। বাকশালের পতন হয়েছে। আওয়ামী স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। গণ অত্যাচারী আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তি বাংলাদেশের মানুষের সামনে কী আর রাজনীতি করার অধিকার রাখে? যদি বাকশালীরা, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা কখনও জনগনের সামনে আবার রাজনীতি করতে আসে আপনারা তাদের প্রত্যাখ্যান করবেন।

সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন বলেন, এই মাটি পবিত্র শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে পবিত্র হয়েছে। সুতরাং হাসিনা তাঁর দোসরদের দ্বারা আবার কখনও অপবিত্র হতে দেব না। দিল্লিতে বসে বসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য পাঁয়তারা করছে। তাঁর ১৫১৭ বছরে যে সমস্ত ফ্যাসিবাদের দোসরেরা প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় এখনও বসে আছে এবং মনে করছে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে, মিথ্যা কথা। এদেশের ছাত্রজনতা বাংলাদেশে আর কখনও অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ দেবে না। বহির্বিশ্বের কোনো শক্তির কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের ছাত্রজনতা সফল হতে দেবে না।

ছাত্র আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা এখনও চুড়ান্ত বিজয় অর্জন করি নাই। আমরা চুড়ান্ত বিজয় অর্জন সেই দিন করবো , যেদিন এই দেশে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক একটি শক্তি বাংলাদেশে সরকার গঠন করবে। যাঁরাই সরকারে আসুক তাঁদের এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার,  সাংবিধানিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কেউ যেন আমরা স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারি। আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না, রাজপথ ছাড়া যাবেনা। যদি আন্দোলন বন্ধ করি, রাজপথ ছেড়ে দিই তাহলে হাসিনার দোষররা সুযোগ পাবে।

এর আগে সকাল ১১টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে নামেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। পরে কক্সবাজার ও চকরিয়া শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালে বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন তিনি।

পেকুয়ার সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ। সভাটি পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন। সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

পরে তিনি তাঁর গ্রামের বাসভবন সিকদার পাড়ায় যান। কাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলনে নিহত পেকুয়ার মোহাম্মদ ওয়াসিমের বাড়িতে গিয়ে কবর জিয়ারত ও শোক সন্তপ্ত পরিবারকে স্বান্তনা দেয়ার ঘোষণা দেন।

সালাহউদ্দিন দীর্ঘ ১০বছর পর পেকুয়ায় এসেছেন। তাকে এক নজর দেখতে লাখো দলীয় নেতাকর্মী সাধারণ মানুষ দুপুর ১২টা থেকে চৌমুহনী চত্ত্বরে সমবেত হন।

30Shares