পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিমজোন শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শওকতকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের ভাই মোহাম্মদ সাকের বাদি হয়ে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমসহ ২০জনের বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু হয়।
ঘটনার পর স্থানীয় শ্রমিকদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। অথচ এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের চারজন নেতাকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজমগীর, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম ও পেকুয়া উপজেলা প্রজন্ম লীগের সভাপতি মোখতার আহমদ।
পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, গত ২৬ আগস্ট রাত ১০টার দিকে পেকুয়া বাজারের পশ্চিমে ভোলাইয়াঘোনা এলাকায় শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শওকতকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেন শ্রমিকদলের পশ্চিমজোনের সহসভাপতি বদিউল আলম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন। তাঁদের সঙ্গে কিছু ছিঁচকে সন্ত্রাসী, টোকাই, চোরও ছিল।
এজাহার ঘেঁটে দেখা যায়, মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বদিউল আলমকে। সাজ্জাদকে করা হয়েছে ২নম্বর আসামি। অন্যান্য আসামিরা হলেন উত্তর গোঁয়াখালীর মৃত ফকির আহমদের ছেলে নওশা মিয়া (৫০), নওশার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ ওয়াজিদ ওরফে শোকা (৩২), মোহাম্মদ খোরশেদ (৩০) ও মোহাম্মদ রাশেল ওরফে টুনুইক্কা (৩১), মৃত ফকির আহমদের ছেলে আহমদ শফি (৫২), আহমদ শফীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২২), মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইমরান (২৪), মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল আবছার ওরফে আচ্ছু (৪৮), মৃত আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সিকদার (২৮), ভোলাইয়াঘোনা এলাকার মৃত মিয়ার ছেলে রশিদ আহমদ (৫৮), রশিদ আহমদের ছেলে মো. মনির (২৫) ও মোহাম্মদ সোহেল (২৬), আবুল কাশেমের ছেলে মোহাম্মদ শওকত (২৫) ও পূর্ব গোঁয়াখালীর মৃত শফিউল আলমের ছেলে মাহান নুর (৪৬)।
পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, ৫ আগস্ট আমার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-লুটপাটের পর আমার পরিবারের কেউ এলাকায় নেই। অথচ শ্রমিকদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে খুনের ঘটনায় আমাকেসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, বাদির দেয়া এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি আসামি হয়ে থাকলে তদন্তকারী কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে বাদ দিবেন।