👤 নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের গণসংবর্ধনার গাড়িবহরে হামলা করে কর্মী-সমর্থকদের আহত করার ঘটনায় কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় বর্তমান ও সাবেকপাঁচজন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৫০জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের পূর্ব টৈটং পুরাদিয়া পাড়ার মৃত ফজল কবিরের ছেলে মো. আবুবক্কর ছিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে।
মামলায় সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নবী হোছাইনকে প্রধান আসামি করা হয়। আসামি অন্য ইউপি চেয়ারম্যানরা হলেন কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম, ডুলাহাজারার ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম, টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ও ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বদিউল আলম।
এছাড়া পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেকসদস্য জিএম আবুল কাশেমকে আসামি করা হয়। মামলার প্রধান আসামি সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের তিন ভাই শাহাজান আলম, আব্দুল গফফার ও লেদু মিয়াকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের গণসংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা পেকুয়া ফেরার পথে কেবি জালাল উদ্দিন সড়কের কোরালখালী এলাকায় সাহারবিলের ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের নেতৃত্বে দলবল নিয়ে গাড়ী বহরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে ২০জনের বেশি বিএনপির কর্মী-সমর্থক আহত হয়।
মামলার বাদী মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, আমরা সালাহউদ্দিন ভাইয়ের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে পেকুয়ায় ফিরছিলাম। এ সময় সাহারবিলের চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের নেতৃত্বে আমাদের গাড়িবহরে হামলা করে। এতে ২০জনের বেশি কর্মী-সমর্থক আহত হন। আসামিদের দ্রুত সময়ে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গত ২৮আগস্ট সালাহউদ্দিন আহমদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে পেকুয়ায় ফেরার পথে সাহারবিল এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এঘটনার আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাবে।