Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

গাইবান্ধায় গ্রেপ্তার হওয়া ২ জনের মৃত্যু, শরীরে আঘাতের চিহ্ন

গাইবান্ধায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে সাঘাটায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তার ও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) ইবনে মিজান। এর আগে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সাঘাটা এলাকা থেকে তাদের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহতরা হলেন, গোবিন্দী এলাকার রোস্তম আলীর ছেলে সোহরাব হোসেন আপেল ও একই এলাকার মালেক উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম। সোহরাবের স্ত্রী জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তার স্বামীকে পিটিয়েছে, পা ভেঙে দিয়েছে।

অন্য গ্রেপ্তাররা হলেন, সাঘাটার গোবিন্দী এলাকার মৃত আব্দুল গনি মিয়ার ছেলে সাঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট, সাঘাটা ইউনিয়নের ভরতখালীর বাঁশহাটি এলাকার সেরায়েত আলীর ছেলে সাহাদৎ হোসেন পলাশ এবং উত্তর সাথালিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম রকি।

পুলিশ জানায়, সোমবার ভোরে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের গোবিন্দী গ্রামে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় চেয়ারম্যান সুইটসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের পাঁচজনকেই সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শফিকুল ইসলাম ও রিয়াজুল ইসলামকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান (শজিমেক) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মোশারফ হোসেন সুইট, সোহরাব হোসেন আপেল ও শাহাদাৎ হোসেন পলাশকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।

তাদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শজিমেক হাসপাতালে এবং দুপুরে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে সোহরাব হোসেন আপেলের মৃত্যু হয়।

নিহত সোহরাব হোসেন আপেলের স্ত্রী জানান, আমার স্বামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না, সে একটি প্রাইমারি স্কুলের নৈশ প্রহরী ছিল। আমার স্বামীকে তারা রাতে গ্রেপ্তার করে পিটিয়েছে। একটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে। আজ দুপুরে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মাহবুব হোসেন জানান, আহতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে নিহতের প্রসঙ্গে কোন কথা বলতে রাজি হননি তিনি। এ প্রসঙ্গে আরএমওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।

এ ব্যাপারে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.আসিফুর রহমান জানান, নিহতের পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এই আঘাতে মৃত্যুটা অপ্রত্যাশিত ছিল। হয়তো তার অভ্যন্তরীণ কোন সমস্যা ছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ (এডমিন এন্ড ফিন্যান্স) ইবনে মিজান বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর তারা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাদেরকে সাঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে তিনজনকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল এবং দুইজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে আজ শজিমেকে শফিকুল এবং গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে আপেলের মৃত্যু হয়। বাকি তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুস্থ রয়েছেন।

13Shares