No reporter name available.
বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের লকারে থাকা ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ। গতকাল রবিবার কুমিল্লায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) ৫৭তম বার্ষিক পরিকল্পনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এমন তথ্য জানান তিনি।
সমবায় ব্যাংকের লকার থেকে ২০২০ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে এই ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল ব্যাংকটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আহসানুল গনি এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট লিমিটেডের ১২ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ১০ কোটি টাকা সুদ জমে। এর সঙ্গে ব্যাংকে জামানত হিসেবে গ্রাহকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ জমা রাখে কোম্পানিটি। কোম্পানিটি দেউলিয়া হওয়ার পর এই স্বর্ণ নিতে কয়েকজন গ্রাহক আসেন। কিন্তু এসব স্বর্ণ নামে-বেনামে ভুয়া কাগজের ভিত্তিতে চুরি হয়ে যায় ব্যাংকের হেড অফিস মতিঝিল শাখা থেকে।
আহসানুল গনি জানান, এই স্বর্ণ গায়েবের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সমবায় ব্যাংকের সাতজন কর্মকর্তাকে আসামি করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলা করে একই বছরের অক্টোবরে চার্জশিট দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ গতকাল কুমিল্লায় বার্ডের বার্ষিক পরিকল্পনা সভায় বলেন, ‘সমবায় ব্যাংকের বহু সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে। যারা একসময় ব্যাংকে ছিলেন, তারাই এসব সম্পত্তি বেদখল করে বসে আছেন। এদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর কোথায় কী অবস্থা রয়েছে, সব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি। সমবায় ব্যাংকের অবস্থা দেখতে গিয়ে জানলাম ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’