👤 নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়া সরকারি মডেল জিএমসি ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল হোছাইনের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নতুন সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রশাসন। অভিযোগ উঠা দুই শিক্ষককে বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আপদকালীন বিদ্যালয় পরিচালনা করতে দুটো কমিটি করে দেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মঈনুল হোসেন চৌধুরী এ সিদ্ধান্ত দেন। এরপর তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য দুটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অনিময়, দুর্নীতির অভিযোগ আছে তাঁরা বিদ্যালয়ে আসবে না। তখন শিক্ষার্থীরা আনন্দে মেতে উঠে। মাসখানেক ধরে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে গড়ে উঠা চক্রের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে আন্দোলন করছিল। গত দুদিন ধরে সেই আন্দোলন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে পরিণত হয়।
পেকুয়া সরকারি মডেল জিএমসি ইনস্টিটিউশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের অবর্তমানে বিদ্যালয় পরিচালনায় আর্থিক ও শৃঙ্খলা বিষয়ে দুটো কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। একটিতে মারুফা দিদা, নুর মোহাম্মদ ও অরিন্দম দেবনাথ অন্যটিতে জাহাঙ্গীর আলম, কফিল উদ্দিন ও সাঈদ আব্দুল্লাহকে সদস্য করা হয়েছে।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষে আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ বলেন, প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত কতদিনের জন্য? কাউকে বিদ্যালয়ে না আসতে বলা তো স্থায়ী সমাধান নয়। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই।