কক্সবাজারের চকরিয়ায় ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে এই আটজনকে সাহারবিলের রামপুর এলাকায় বিএনপি কর্মীর ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়াও এই আটজনের মধ্যে চারজনকে আরেকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনজুর কাদের ভূঁইয়া বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, পুলিশের একাধিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক (৬০), ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের রাজারবিল নয়াপাড়ার বাসিন্দা আবদু শুক্কুরের ছেলে মো. শহীদ (২৮), আহমদ সোবাহানের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল কবির (৫০), ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্য মো. মাহমুদুল করিম (৩৮), পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের সিকান্দার পাড়ার গোলাম সোবাহানের ছেলে নুরুল মোস্তফা (৩২), দলিলুর রহমানের ছেলে মো. শাহাবউদ্দিন (৫০) ও তার ছেলে মো. মুরাদ (২২), বিএমচর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড পাহাড়িয়া পাড়ার আবদুল মজিদের ছেলে মো. আসিফ (২০)।
পুলিশ জানায়, গত ২৮ আগস্ট চকরিয়া পৌরবাস টার্মিনালে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদের চকরিয়া আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। পেকুয়ার টৈটং ইউনিয়নের একদল বিএনপির কর্মী সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন। সংবর্ধনা সভা শেষে সন্ধ্যায় পেকুয়া ফেরার পথে কেবি জালাল উদ্দিন সড়কের সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর এলাকায় একদল সন্ত্রাসী লাটিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এদের মধ্যে এনামুল হক, মো. শহীদ, মাহমুদুল করিম ও নুরুল কবিরকে আরও একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত বছরের ১৬ আগস্ট চকরিয়া পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ড নামার চিরিঙ্গা জামে মসজিদ মাঠে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ ফোরকান হত্যা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।