Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পেকুয়ায় শিক্ষক হত্যার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার চৌমুহনী এলাকার পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ হত্যা মামলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেল চারটার দিকে চকরিয়া থানা রোড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যানের নাম মোহাম্মদ ইউনুছ চৌধুরী। তিনি উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

গত ২৮সেপ্টেম্বর রাত নয়টার দিকে পেকুয়া চৌমুহনীর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে থেকে অপহরণের শিকার হন আরিফ। ১১ অক্টোবর নিজের বাড়ির আঙিনার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে পায়ে ইট বাঁধা বস্তাবন্দি অবস্থায় আরিফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে ১ অক্টোবর আরিফের ছোটভাই রিয়াদুল ইসলাম বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করেন। লাশ পাওয়ার পর মামলাটিতে হত্যার ধারা যুক্ত হয়।

স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের ছোটভাই রিয়াদুল ইসলাম বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের পর বিভিন্ন সূত্র থেকে অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ হতে থাকে। গত ২১ অক্টোবর চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৮ব্যক্তিকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। সেই আবেদনের ৫নম্বর আসামি মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী। ‘

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন বলেন, শিক্ষক আরিফ হত্যা মামলায় ইউনুছ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাল বৃহস্পতিবার তাকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে।

এর আগে আরিফ হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, তাঁর চাচাতো ভাই মোহাম্মদ হানিফ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ওমর ফারুক ও চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডী গ্রামের হাবিবুল্লাহ খাঁনের ছেলে রুবেল খাঁনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে রুবেল খান চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্তীর কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

2Shares