👤 নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার হালকাকারা জামে মসজিদের বর্তমান কমিটি বহাল থাকার পরও নতুন কমিটি ঘোষনা নিয়ে এলাকায় সাধারণ মুসল্লী ও স্থানীয় জনগণের মাঝে চলছে উত্তেজনা।
জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ড হালাকাকারা জামে মসজিদের তিন বছর মেয়াদী বর্তমান কমিটি বহাল রয়েছে। কিন্তু শুক্রবার রাত ৮টার দিকে হঠাৎ করে স্থানীয় আল ইয়ামিন মাদ্রাসায় বসে একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। মসজিদের এধরণের কমিটি ঘোষণা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলছে।
এলাকাবাসী জানান, মসজিদের বর্তমান কমিটি বহাল থাকলেও নুতন করে আরো একটি কমিটি কিভাবে ঘোষণা করা যায়। এছাড়া বর্তমান কমিটির সভাপতি এনামুল হক ছুট্টুকে নতুন কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ছুট্টু তাঁর মা কর্তৃক মসজিদের নামে দান করা জমি বিক্রি করে এখনো টাকা মসজিদে জমা দেননি। এমনকি মসজিদের টাকা তাঁর পারিবারিক মামলা মোকদ্দমার জন্য খরচ করেছেন। এসবের হিসাব গোপন রাখতে মরহুম ইদ্রিস সওদাগরের ছেলে ছুট্টু মসজিদ কমিটি নিয়ে ডিগবাজি খেলছে। সুবিধাভোগী ছুট্ট ছাড়া মসজিদের বর্তমান কমিটির কাউকে তাদের মনগড়া কমিটিতে রাখেনি।
হালকাকারা জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে এলাকার বাইরে থাকায় এলাকার কিছু ষড়যন্ত্রকারী বিধি লঙ্গন করে মসজিদের নামে একটি ভুয়া কমিটি ঘোষনা করে। বর্তমান কমিটির আমলে মসজিদের সবচেয়ে বেশী উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে মসজিদ সম্প্রসারণ ও পুণঃনির্মান কাজ এখনো চলমান রয়েছে। এই উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্থ করতে একটি মহল সুবিধাভোগী ছুট্ট ছাড়া কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে মসজিদ থেকে অনেক দূরে একটি মাদ্রাসায় বসে তাদের ইচ্ছামত কমিটি ঘোষনা করে।
তিনি বলেন, মসজিদের কমিটি দিতে পারে একমাত্র এলাকাবাসী ও মসজিদের সাধারণ মুসল্লীরা। এখানে সম্ভব না হলে কমিটি দেয় উপজেলা প্রশাসন তথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। কিন্তু এধরণের কমিটি এলাকাবাসী ও সাধারণ মুসল্লীর কাছে কোন ভিত্তি নেই।
এ বিষয়ে জানতে মসজিদ কমিটির সভাপতি এনামুল হক ছুট্টুর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।