যেকোনো দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানসম্মত শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হলে শতভাগ মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। দেশে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত, অভাব শুধু গুণগত বা মানসম্মত শিক্ষার। শিক্ষার মান উন্নত করতে অভিভাবক ও শিক্ষকের ভূমিকাই সর্বাধিক অগ্রগণ্য।
আজ সোমবার সকালে ও দুপুরের দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় দুটি বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে পরিদর্শনে গেলে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সোমবার সকালের দিকে প্রথমে উপজেলার হারবাং মৌলভী সাঈদুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পরে দুপুরের দিকে মানিকপুর বেগম আয়েশা হক উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথে ছিলেন বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী ও সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিম।
বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে পৃথক দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সভা করেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম আরও বলেন, অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের সমন্বয় থাকা খুবই প্রয়োজন। শিক্ষার মান উন্নয়নে অভিভাবকদের ভূমিকা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। দায়িত্ব পালনের জন্য শিক্ষককে অত্যন্ত আন্তরিক হতে হবে। পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন করার দায়িত্বও শিক্ষকদের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি এলাকার মানুষের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার কোনো ধরণের ঘাটতি থাকতে পারবে না। স্থানীয়দের সুন্দর মনোভাব ও উদার মানসিকতা, মানবিক মন নিয়ে এগিয়ে না আসলে কখনো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুর্ণাঙ্গ রূপ পাবে না। একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষাদানের সক্ষমতা, কৌশল ও নৈপুণ্যের ওপর নির্ভর করবে শিক্ষার গুণগত মান ও মানসম্মত শিক্ষা। তাই সকলকে আন্তরিকতার সহিত পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা শওকত আলম, চকরিয়া গ্রামার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের সিনিয়র শিক্ষক এস এম নুরুন্নবী, মানিকপুর বেগম আয়েশা হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান সরওয়ার, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কাইছার।