Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

স্ত্রীর ইন্ডিয়ান শাড়ি ছুড়ে ফেললেন রিজভী, পোড়ালেন নেতাকর্মীরা

‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ কর্মসূচিতে গিয়ে স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি ছুড়ে ফেলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। পরে ওই শাড়িতে আগুন দিয়েছেন সেখানে থাকা নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সাধারণ চিকিৎসক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ কর্মসূচিতে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ২২ মার্চ নিজের গায়ে থাকা একটি ভারতীয় চাদর ছুড়ে ফেলেছিলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় রুহুল কবির রিজভী ব্যাগ থেকে একটি লাল রঙের শাড়ি বের করে বলেন, ‘এই সেই ইন্ডিয়ান শাড়ি। আমার স্ত্রীর ছিল, সে নিজেই এই শাড়ি দিয়েছে। আজকে সেই শাড়ি আমি আপনাদের সামনে ছুড়ে ফেললাম।’

এ কথা বলার পর শাড়িটি মঞ্চের সামনের দিকে সড়কে ছুড়ে দেন রিজভী। পরে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দিয়ে দাও, আগুন দিয়ে দাও’। এমন নির্দেশনার পর দলটির নেতাকর্মীরা শাড়িটিতে আগুন জ্বালিয়ে দেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমাদের ঐক্য ইস্পাতের মতো কঠিন। এই ঐক্য কেউ ভাঙতে পারবে না। আমরা ওদের (ভারত) দেশের স্বাধীনতা ও পতাকাকে সম্মান করবো। যদিও তারা আমাদের পতাকাকে অসম্মান করেছে। কিন্তু, আমরা ওদের পণ্য বর্জন করবো।’ তারা (ভারত) যদিও আমাদের পতাকাকে অসম্মান করেছে। কিন্তু আমরা ওদের পণ্য বর্জন করবো।’

তিনি বলেন, ভারতের আগরতলায় কিছু উগ্রবাদী মানুষ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে আমাদের কর্মচারীদের আঘাত করেছে। আমাদের জাতীয় পতাকার যে খুঁটি রয়েছে, সেটি ভেঙে আমাদের পতাকাকে তারা ছিঁড়েছে। কলকাতায় যে হাইকমিশন রয়েছে সেখানে গিয়েও তারা আজেবাজে বলেছে। আমরা তাদের বাংলাদেশ বিরোধী নানা প্রচার দেখছি। তোমরা আমাদের পছন্দ করো না, তারপরও তোমাদের জিনিস কিনতে হবে? বাংলাদেশের মানুষ তো মাথা নত করার মানুষ নয়। আমরা একবেলা খেয়ে থাকবো, তারপরও আমরা মাথা নত করবো না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি আমার দেশের মানুষকে বলেবো, ওরা (ভারত) বাংলাদেশের মর্যাদাকে লুণ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে, ওরা বাংলাদেশের পতাকা পুড়িয়েছে; কিন্তু আমরা ভারতের পতাকাকে লাঞ্ছিত করবো না। আমরা আরেকটি স্বাধীন দেশের মর্যাদাকে ছোট করবো না। প্রত্যেক জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে আমরা সম্মান করবো। আমরা ওদের (ভারত) মতো ছোটলোকি করবো না।’

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু এবং ডা. আউয়াল প্রমুখ।

1Shares