নড়াইল-২ আসনের (লোহাগড়া ও নড়াইল সদরের একাংশ) সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার বিরুদ্ধে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় তাঁকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মাশরাফিসহ মামলায় ২৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০০-৩৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক কাজী ইয়াজুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল সোমবার রাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেছেন। কাজী ইয়াজুর রহমান উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের দক্ষিণ লংকারচর গ্রামের শওকত কাজীর ছেলে।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা কর্মসূচি পালন করতে বের হয়। সকাল ১০টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা সদরের লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয় মাঠে ছাত্রছাত্রীরা জড়ো হলে তাঁদের পথরোধ করে, জীবননাশের হুমকি দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামিরা লক্ষ্মীপাশা সেতুতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন। তাঁদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। আশপাশের বাড়ি ও দোকানপাট এবং বাস ও ইজিবাইক ভাঙচুর করেন। এতে ১৭ জনসহ অনেকে আহত হন। আসামিদের মধ্যে সরাসরি হামলাকারী, নির্দেশদাতা, পরিকল্পনাকারী ও ইন্ধনদাতা আছেন। আসামিদের মধ্যে কয়েকজন গত ১৪ জুলাই মামলার বাদী কাজী ইয়াজুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেন এবং গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সদস্য শেখ সজীবকে বেধড়ক মারধর করেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন মাশরাফির বাবা গোলাম মুর্তজা, লোহাগড়ার সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম ফয়জুল হক, শিকদার আবদুল হান্নান ও সৈয়দ ফয়জুল আমির, সাবেক পৌর মেয়র মশিয়ূর রহমান এবং লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দীন। আসামিদের মধ্যে আরও আছেন নয়জন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এর আগেও নড়াইল সদর থানায় হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের আরেকটি মামলায় মাশরাফিকে আসামি করা হয়েছিল।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, বাদীর এজাহারের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।