Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চকরিয়ায় দুইদিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুরু 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ও মাঠপর্যায়ের কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণে দুইদিন ব্যাপী জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুরু হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে আনুষ্ঠানিক এ মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। 

মেলায় উন্নত প্রযুক্তির কৃষি খামার, হস্ত শিল্প, নার্সারি, ফসল প্রদর্শন, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও চারা রোপন প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে।

দুইদিনের কৃষি মেলায় ১৬টি স্টলে স্থানীয় কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল, ফল-মূল, ঔষুধিগাছ ও নানাজাতের চারা প্রদর্শন করেন। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা পন্য কিনছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এনজিও সংস্থা আনন্দ ও সিপ এর যৌথ উদোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়। 

কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধন পরবর্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন। আনন্দের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুমন পালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মোসাদ্দেকুর ইসলাম, সিপের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও আনন্দের ট্রেনিং কর্মকর্তা ক্ল্যাসিটা ক্লারা রোজারিও প্রমুখ।  

মেলা ঘুরে দেখা গেছে , জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও প্রযুক্তি মেলায় ১৬টি স্টল বসেছে। মেলায় উন্নত প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কৃষি খামার তৈরি, দুর্যোগকালীন সময় কীভাবে মোকাবেলা, কীভাবে বীজ ও কৃষি উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ করতে হয়, কীটনাশক ছাড়া সবজি উৎপাদন করার পদ্ধতি দেখানো হচ্ছে। শাহিনা পারভীন লিপির পারিবারিক পর্যায়ে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস করতে কীভাবে বীজ সংরক্ষণ করতে হয়, ছাদেকা সোলতানা জৈব বালাইনাশক ও কেচো সার তৈরি, হামিদা খামার, চারাগাছ, আচার, নকশি কাঁথা, টুপিসহ নানা হাতের বুননে তৈরি নানা পণ্য বিক্রি করা হয়। কৃষি মেলা শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। 

কৃষাণী শাহিনা পারভীন লিপি বলেন, ‘ প্রথমবারের মতো আমাদের এলাকায় কৃষি ও প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে দুর্যোগের সময় কীভাবে বীজসহ নানা কিছু সংরক্ষণ করতে হয় প্রদর্শন করা হয়েছে।’

কৃষক মাসুক মিয়া বলেন, ‘এখানে মেলা হচ্ছে শুনে, নিজের নার্সারি থেকে পেঁপে, মরিচ, টমেটো, বেগুনসহ নানাজাতের সবজি চারা এনেছি। বেশ বিক্রিও হয়েছে।’

মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন শেষে চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম নাসিম হোসেন বলেন, ‘এই এলাকার মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। মেলায় নারী কৃষকদের এগিয়ে আসা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। কৃষাণীরা নানা উদ্যোগের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে খামার করছেন। এসময় তিনি মেলায় আগত কৃষক-কৃষাণীকে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছেন।

13Shares