চকরিয়া পৌরসভার পুকপুকরিয়া এলাকায় দলের সম্মেলন শেষে বাড়ি ফেরার পথে শামসুল আলম সাগর নামের যুবদলের এক নেতাকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে দুবৃর্ত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত শামসুল আলম সাগর স্থানীয় পুকপুকুরিয়া এলাকার মোহাম্মদ কালু ওরফে কালা মিয়ার ছেলে।
আহতের পরিবার সদস্যরা জানিয়েছেন, চকরিয়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম সাগর গত ৮ ডিসেম্বর যুবদলের সম্মেলন পরবর্তী দলীয় কার্যক্রম শেষ করে রাত এগারোটার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। ওইসময় তিনি বাড়ীর সামনে পৌঁছলে সেখানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা শামশুল আলমকে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে। একপর্যায়ে রাতের আঁধারে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে তাঁকে দা দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে দুবৃর্ত্তরা।
পরিবার সদস্যরা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও স্বজনরা এগিয়ে এসে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
চকরিয়া পৌরসভা যুবদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবদলের নেতৃবৃন্দ এবং এলাকাবাসী যুবদল নেতা শামসুল আলম সাগরের উপর সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
চকরিয়া থানার ওসি মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, হামলার ঘটনায় গতকাল ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেননি। তবে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।