👤 নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া
চকরিয়া উপজেলায় গ্রামীণ কৃষকদের মাঠে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে দলীয় উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রযুক্তি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মাঠে এই মেলা হয়। মেলায় ১৪টি স্টলে কৃষকেরা তাঁদের খেতের উৎপাদিক কৃষিপণ্য নিয়ে প্রদর্শনী ও বেচাবিক্রি করেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এনজিও সংস্থা আনন্দ ও সিপ এই মেলার আয়োজন করেন।
কাকারা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো, শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন। সিপের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের প্রকৌশলী মো. শেখ মামুন ও ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান।
বক্তব্য দেন আনন্দের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুমন পাল, সিপের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও আনন্দের ট্রেনিং কর্মকর্তা ক্ল্যাসিটা ক্লারা রোজারিও প্রমুখ।
মেলায় গিয়ে দেখা যায়, জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও প্রযুক্তি মেলায় ১৪টি স্টল বসেছে। মেলায় উন্নত প্রযুক্তির কৃষি খামার, হস্ত শিল্প, নার্সারি, ফসল প্রদর্শন, দুর্যোগ প্রস্তুতি, চারা রোপন প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেছে। কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল, ফল-মূল, ঔষুধিগাছ ও নানাজাতের চারা প্রদর্শন করেন। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা পন্য কিনছেন। কৃষি মেলা শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
কৃষক কাউছার হামিদ বলেন, ‘মেলায় বিষমুক্ত শাক-সবজি আনেছি। কীভাবে বিষমুক্ত পণ্য উৎপাদন করা যায়, তা এখানে দর্শনার্থীদের দেখিয়েছি ও কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। উন্নত প্রযুক্তির কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে চাষাবাদ করলে অধীক লাভবান হওয়া যায়। দুর্যোগকালীন সময় কীভাবে মোকাবেলা, বীজ ও কৃষি উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ করতে হয়, কীটনাশক ছাড়া সবজি উৎপাদন করার পদ্ধতিসহ দেখানো হচ্ছে।’
শামীমা বেগম বলেন, ‘মেলায় বেশিরভাগ নারীরা কৃষিকাজের উৎপাদিত পণ্য এখানে এনেছেন। এসব পণ্য বিক্রি করে নারীরা অর্থ আয়ও করছেন। মেলা প্রদর্শনী ও পণ্য বিক্রি করা হয়েছে। জৈব বালাইনাশক ও কেঁচো সার তৈরি, খামার, চারাগাছ, আচার, নকশি কাঁথা, টুপিসহ নানা হাতের বুননে তৈরি নানা পণ্য বিক্রি করা হয়।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম নাসিম হোসেন বলেন, ‘এখানকার নারীরা কৃষিকাজ করে আত্মনির্ভরশীল হয়েছে এমন সংখ্যা অনেক। মেলায় আগত নারীরা কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে খেত-খামার করছেন। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে বাজারে ভালো দামও পাচ্ছেন।’