Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চকরিয়ায় খ্রিষ্টান পল্লীতে উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপন

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশে জাঁকজমকভাবে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপিত হয়েছে। খ্রিষ্ট্রান পল্লী ও অনুষ্ঠানস্থলে যাতে কোনধরনের  অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে; সেজন্য চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও র‍্যাব-১৫ এর একাধিক টিম মাঠপর্যায়ে সক্রিয় রয়েছে। অন্যদিকে বড়দিন উপলক্ষে উপজেলার খ্রিষ্টান পল্লীতে বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। পাশাপাশি উৎসব ঘিরে বাহারি খাবারের আয়োজন করেছে প্রতিটি পরিবার। 

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটের চাবাগান খ্রিষ্টান পল্লীর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে পবিত্র বাইবেল পাঠের মধ্য দিয়ে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হয়। পরে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। তিনি অনুষ্ঠানে বড়দিনের কেক কাটেন। দিনব্যাপী চলে নানা অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. রাকিব উর রাজা, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া, কক্সবাজার র‍্যাব ১৫ এর কর্মকর্তা দেবজিৎ পাল, মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হসপিটালের চিকিৎসক স্টিফেন কেলি, মালুমঘাট ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পালক থিওফিল হক, পালক কাজল মল্লিক, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী, ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন শিপু, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ চকরিয়া উপজেলার সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মিন্টু দে।

উৎসব অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালের প্রশাসক জোসেফ অমূল্য রায়, সহপ্রশাসক সুজেন এজ। 

ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগীখিল বিরয়া চার্চের পালক শিক্ষক সুকুমার দে বলেন, বুধবার সকাল ৮টায় বড়দিনের মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমে পবিত্র বাইবেল পাঠ করা হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে চার্চসহ সমস্ত এলাকায় সাজসজ্জা করা হয়েছে। আমরা ঈশ্বরের কাছে দেশের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা জানিয়েছি। খুবই সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন উদযাপিত হচ্ছে। নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি দেখছি না।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব যেন সুষ্ঠু, সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়; সেজন্য সার্বিক নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সাদা পোশাকের সদস্যরা কাজ করছে। তিনি বলেন,  পুলিশের একাধিক টিম টহলে রয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র‍্যাব-১৫সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে।

1Shares