Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চকরিয়ায় আদালতে দাঁড়িয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য, এক শিক্ষককে কারাগারে দিলেন বিচারক

কারাগারে থাকা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছারকে জামিনে মুক্ত করার জন্য আদালতে হাজির হয়ে মিথ্যা তথ্য ও সাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে আবু ছিদ্দিক নামের এক শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার একটি মামলার শুনানি চলাকালে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবির এই নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী আবু ছালেহ। 

কারাগারে পাঠানো শিক্ষক আবু ছিদ্দিক চকরিয়া বরইতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক।

মামলার নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, বরইতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে এক কোটি ৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা আত্মসাত সংক্রান্ত ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বরখাস্ত করে। এ ঘটনায় তৎকালীন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহীন মুরাদ বাদী হয়ে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। পরে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য কক্সবাজার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দায়িত্ব দেন। সে সময় সিআইডির কাছে প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার কর্তৃক অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সত্য বলে সহকারী শিক্ষক আবু ছিদ্দিকসহ তিনজন স্বাক্ষ্য দেন। পরে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে সিআইডি। মামলা আদালতে চলমান থাকাবস্থায় প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার উচ্চ আদালত থেকে অস্থায়ী জামিন নেন। অবশ্য উচ্চ আদালত সেসময় আদেশে তাকে নির্ধারিত সময়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন সাবেক প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার। মামলার শুনানি শেষে আদালত ওই দিন প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছারকে জেলহাজতে পাঠান।

চকরিয়া আদালতের আইনজীবী আবু ছালেহ বলেন, গতকাল রোববার প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছারের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। এ সময় আদালত সিআইডির কাছে স্বাক্ষ্য দেওয়া সহকারী শিক্ষক আবু ছিদ্দিক ও অপর সাক্ষী মাহফুজুল করিমের কাছে তদন্তে সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়ে জানতে চান। এ সময় সাক্ষী মাহফুজুল করিম সিআইডির কাছে দেওয়া সাক্ষ্যের বিষয়ে স্বীকার করলেও অপর সাক্ষী সহকারী শিক্ষক আবু ছিদ্দিক প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছারের পক্ষাবলম্বন করে সিআইডির কাছে স্বাক্ষী দেননি বলে আদালতে মিথ্যা তথ্য দেন।

আইনজীবী আবু ছালেহ বলেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ায় আদালত সংক্ষুব্ধ হন। এরই প্রেক্ষিতে চকরিয়া আদালতের বেঞ্চ সহকারী লুৎফুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল রোববার দুপুরে একই আদালতে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আবু ছিদ্দিকের বিরুদ্ধে একটি স্বপ্রণোদিত মামলা করেন। ওই মামলায় বিচারক আনোয়ারুল কবির আদালতে দাঁড়িয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অপরাধে সহকারী শিক্ষক আবু ছিদ্দিককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে গতকাল সন্ধ্যায় আদালতের পুলিশ তাকে কারাগারে নিয়ে যায়।

8Shares