কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালীর প্যারাবনে নিয়ে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চকরিয়া থানায় মামলাটি করেন কিশোরীর বাবা। মামলায় অন্য কাউকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়নি।
মামলার আসামিরা হলেন বদরখালী ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকার জিয়াবুল হকের ছেলে মোহাম্মদ তাজুম ওরফে তাজুল উদ্দিন (২২), মগনামা পাড়ার আবু ছালেকের ছেলে অমিত হাসান (২৫), গোলাম কাদেরের ছেলে তারেক জিয়া (২১), কলেজপাড়া এলাকার মো. ইছহাকের ছেলে মো. কাজল (২৩), বদরখালীর মো. ছোটন (২৩) ও মো. ফারুক (২৪)। আসামিদের মধ্যে তাজুম, অমিত, তারেক ও কাজলকে মামলার আগেই আটক করে পুলিশ। এছাড়াও সন্দেহভাজন হিসেবে বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮), ঢেমুশিয়াপাড়ার আবদুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭), বদরখালী ইউনিয়নের বাজার পাড়ার মোহাম্মদ আবছারের ছেলে মোহাম্মদ সজিব (২৫), বশির আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ ছোটনকে (২৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পরপর মহেশখালী ও বদরখালী এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরমধ্যে চারজনকে এজাহারে আসামি করা হয়। অন্য চারজনের সম্পৃক্ততা না থাকলে তাঁদের জামিনে বিরোধিতা করবে না পুলিশ। ওসি বলেন, এজাহারনামীয় পলাতক ছোটন ও ফারুককে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আজ সকালে কিশোরীর বাবা বলেন, ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে আসামিদের নাম আসতে থাকে। সেখান থেকে চারজনকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়। পুলিশও দ্রুততার সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছে। আশা করছি, বাকি প্রক্রিয়ার পর আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ন্যায় বিচার পাবো।