কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালীর প্যারাবনে নিয়ে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেল তিনটার দিকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবিরের কাছে এ জবানবন্দি দেন। এছাড়া ধর্ষণের শিকার কিশোরী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্র জানায়, বুধবার দুপুর দুইটার দিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় আসামি বদরখালী ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকার জিয়াবুল হকের ছেলে মোহাম্মদ তাজুম ওরফে তাজুল উদ্দিন (২২), মগনামা পাড়ার আবু ছালেকের ছেলে অমিত হাসান (২৫) ও গোলাম কাদেরের ছেলে তারেক জিয়াকে (২১) আদালতে তোলা হয়। পরে বিকেল তিনটার দিকে আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবিরের কাছে প্রধান আসামি মোহাম্মদ তাজুম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে মঙ্গলবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিন আসামি বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮), ঢেমুশিয়াপাড়ার আবদুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭) ও কলেজপাড়া এলাকার মো. ইছহাকের ছেলে মো. কাজলকে (২৩) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
তাজুমের জবানবন্দির বরাত দিয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ছয়জন (তাজুমসহ) আসামি কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তাজুম। পরে আদালত তাকেসহ তিন আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের পর মা-বাবার জিম্মায় কিশোরী বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
গত রোববার রাতে বদরখালী সেতু থেকে কিশোরীকে তুলে নিয়ে প্যারাবনের বেড়িবাঁধের ওপর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এঘটনায় পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে সোমবার তিনজন ও মঙ্গলবার পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। সোমবার আটক তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার আটক পাঁচজনের মধ্যে দুজনকে ছেড়ে দিয়ে তিনজনকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ওসি বলেন, থানা থেকে দুজনকে যাচাই-বাছাই শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।কিশোরীর বাবা যে মামলাটি দায়ের করেছেন সে মামলায় তাঁদের নাম নেই। বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।