কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের কদ্দাছড়া এলাকার একটি বসতঘর থেকে গরু ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আট নেতা-কর্মীসহ ১৫জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন কদ্দাছড়া এলাকার গরু ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিনের স্ত্রী মুর্শিদা বেগম (৩৫)।
বাদীর আইনজীবী মিফতাহ্ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশের এসপিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি বেলাল উদ্দিন, সাহারবিল ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাহারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আব্দুল মালেক ওরফে বাবু, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোকাদ্দেস, সাহারবিল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সাহারবিল ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মে. নুরুচ্ছফা, সাহারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. কাইছার, সাহারবিল ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল জলিল, স্থানীয় রিয়াজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সিফাত, মোহাম্মদ শাকিব, ফরিদুল আলম, নুরুল হক, মোহাম্মদ বাপ্পি ও মারুফুল ইসলাম।
বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পদবী নিশ্চিত করেছেন মামলার ২ নম্বর আসামি ও সাহারবিল ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন।
মামলায় মুর্শিদা বেগম দাবি করেন, তাঁর স্বামী নাছির উদ্দিন একজন গরু ব্যবসায়ী। ১৭ জানুয়ারি বেলা আড়াইটার দিকে আসামিরা অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গেট ভেঙে বসতঘরে ঢুকে লুটপাট চালায়। বাধা দেওয়ায় তাঁর ভাই আব্দুল গাফফার ও স্বামী নাছির উদ্দিনকে গুলি করে ও কুপিয়ে জখম করে। এসময় আসামিরা ১২টি গরু, গরু ব্যবসার ২০ লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে। গাফফার ও নাছির এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানতে চাইলে মামলার ২ নম্বর আসামি ও সাহারবিল ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। ওই দিন দুপক্ষের গোলাগুলিতে আমার ভাই আহত হওয়ায় তাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে যাই। কে কার গরু, স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুট করেছে জানি না। আসামিদের মধ্যে বেলাল ও আব্দুল মালেক আমার ভাই। তাঁরাও ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই।