![](https://samudrasangbad.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
১৫ লাখ টাকা মূল্যের ছয়টি মহিষ লুটের ঘটনায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বিএনপি সংশ্লিষ্ট ১৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেছিলেন এক নারী। এজাহারে বিএনপি সংশ্লিষ্টদের নাম থাকায় পুলিশ মামলা নেয়নি। আজ বুধবার ওই নারী চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই ১৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তবে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেই তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী সেলিনা আকতার প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা দিনেদুপুরে বসতঘরে ঢুকে আমার অন্তত ৬টি মহিষ লুট করে নিয়ে গেছে। এসময় আসামিরা ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে এলাকায় ভীতি সৃষ্টি করে। ঘটনার পর পর চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। আজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেছি।
মামলার বাদী সেলিনা আকতার উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকার মোহাম্মদ পারভেজের স্ত্রী।
মামলায় যাঁদের আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন সাহারবিল ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাহারবিল ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মো. নুরুচ্ছফা, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি বেলাল উদ্দিন, সাহারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আব্দুল মালেক ওরফে বাবু, সাহারবিল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সাহারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. কাইছার, সাহারবিল ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল জলিল, স্থানীয় রিয়াজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সিফাত, মোহাম্মদ শাকিব, ফরিদুল আলম, নুরুল হক, মোহাম্মদ বাপ্পি ও মারুফুল ইসলাম।
মামলার আসামিদের পদ-পদবী নিশ্চিত করেছেন মামলার এক নম্বর আসামি সাহারবিল ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন নিজেই। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। ওই দিন দুপক্ষের গোলাগুলিতে আমার ভাই আহত হওয়ায় তাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে যাই। কে, কার গরু লুট করেছে জানি না। আসামিদের মধ্যে বেলাল ও আব্দুল মালেক আমার ভাই। তাঁরাও ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।
মামলায় সেলিনা আকতার দাবী করেছেন, তাঁর স্বামী পারভেজ মহিষের খামার ও দুধের ব্যবসা করেন। ১৭ জানুয়ারি বিকেল তিনটার দিকে আসামিরা অবৈধ অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বসতঘরে ঢুকে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেন। একপর্যায়ে মহিষের খামারের পরিচালক আব্দুর রহিমকে জিম্মি করে রাখেন আসামিরা। এরপর খামারে থাকা ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ছয়টি মহিষ লুট করে নিয়ে যান।
বাদীর আইনজীবী লুৎফুল কবির বলেন, সেলিনা আকতার আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিলেও আসামিরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে তিনি চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, আদালত থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি। তবে মামলা না নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। এজাহার পেয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি। কোনো কারণ ছাড়াই বাদী আদালতে চলে গেছেন।