👤 নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া
বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া এলাকায় একটি বন্যহাতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে । আজ বুধবার ভোর চারটার দিকে এঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে স্থানীয় বনবিভাগের কর্মকর্তারা সকাল সাতটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন্যহাতির মরদেহ ঘিরে রাখে। ময়নাতদন্তের জন্য চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে খবর দেয়া হয়েছে। লোকজনকে হাতির মরদেহের কাছে যেতে নিরুৎসাহিত করছে বনবিভাগের লোকজন।
স্থানীয় লোকজন বলেন, চকরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় তামাক খেত হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণ থেকে তামাক খেত রক্ষা করতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ ব্যবহার করছেন কৃষকেরা। জানুয়ারি মাসে ফাঁসিয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুর রহমান ও রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দিন বৈদ্যুতিক ফাঁদে হাতি হত্যার বিরুদ্ধে কয়েকটি সচেতনতামূলক সভা করেছিলেন। এরপর মেহরাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে ঘুনিয়া এলাকার কয়েকটি তামাকখেত থেকে বৈদ্যুতিক ফাঁদ অপসারণ করা হয়েছিল। সেই এলাকায় মারা গেছে বন্যহাতিটি।
স্থানীয় অন্তত পাঁচজন বাসিন্দা বলেন, তামাক খেত রক্ষায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্যহাতিটি মারা গেছে। হাতিটির শরীর দেখে বুঝা যায় এটি সুস্থ সবলই।
তবে এখনই বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে বন্যহাতিটির মৃত্যু হয়েছে এমন কথা বলতে নারাজ কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া দায়িত্বশীল পদে থেকে আমি এবিষয়ে বলতে পারছি না। ময়নাতদন্ত হোক, তারপর মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।