👤 এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ইসলামনগর এলাকায় বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে হাজির হন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। এসময় মেয়ের পরিবার অতিথিদের খাবার পরিবেশন করছিলেন। পুলিশসহ শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতি দেখে খাবার ফেলে যে যার মতো সটকে পড়েন। একপর্যায়ে বন্ধ করা হয় নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মাদরাসা শিক্ষার্থীর বিয়ে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী এলাকার এক প্রবাসী যুবকের বিয়ে ঠিক হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বরপক্ষ এসে মেয়েকে বউ সাজিয়ে নেওয়ার কথা। এ লক্ষ্যে বরপক্ষ লোকজন নিয়ে রওনাও দেন। নবম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর বিয়ে হচ্ছে শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান পুলিশ নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিবাহস্থলে পাঠান।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, চকরিয়া থানা পুলিশের একটি দল, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও আমি যখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই, তখন অতিথিরা খাবার টেবিলে। আমাদের উপস্থিতি দেখে যে যার মতো সটকে পড়েন। পরে মেয়ের বাবাকে ডেকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে জানানো হয়। একপর্যায়ে তিনি বুঝতে পেরে স্বীকারোক্তি দেন, বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ে বিয়ে দিবেন না।
মেয়ের বাবা বলেন, প্রবাসী স্বামী পেয়ে মেয়ের ভবিষ্যত নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বয়স কম হলেও বিয়ের আয়োজন করেছিলাম। এখন স্যার এসে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবগত করার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি মেয়ে এখন আর বিয়ে দেবো না। বরপক্ষ বরযাত্রী নিয়ে আমার বাড়ির পথে ছিল, তাঁদের আসতে নিষেধ করেছি এবং মেয়ে বিয়ে দিবো না সেটাও জানিয়েছি।