Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

৩ ঘণ্টা পর চন্দনাইশের সেলিম বদরখালীর জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বাসিন্দা মো. সেলিম উদ্দিন পরিচয়ের সূত্র ধরে নিজের কার গাড়ি বিক্রির ১৬ লাখ টাকা আমানত রেখেছিলেন প্রতারক রাশেদুল ইসলাম রাসেলের কাছে। জমা দেওয়া টাকার বিপরীতে বিশ্বাস জন্মাতে নিজ নামীয় ইসলামি ব্যাংক ও ব্রাক ব্যাংকের দুটি চেক সেলিম উদ্দিনকে দেন প্রতারক রাসেল। একমাসের জন্য আমানত নিলেও আজ দেবে কাল দেবে এমন অজুহাত দেখিয়ে সময় অতিবাহিত হয়েছে একবছর ৫ মাস। এরপরও টাকা ফেরত দিচ্ছে না রাসেল। অভিযুক্ত রাশেদুল ইসলাম রাসেল কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের টুটিয়াখালী পাড়া এলাকার ছৈয়দ আহমদ এর ছেলে।

রাশেদুল ইসলাম রাসেল ১০ বছরের বেশি সময় ধরে চন্দনাইশ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের টাওয়ারপাড়া এলাকায় লজিং থেকে লেখাপড়া করেছে। সে সুবাদে ওই এলাকার বাসিন্দা মৃত নুর আলী মিয়ার ছেলে গাড়ি চালক সেলিম উদ্দিনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় এবং গাড়ি বিক্রির টাকা আমানত দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সেলিম উদ্দিন।

ভুক্তভোগী গাড়ি চালক সেলিম উদ্দিন বলেন, রোজার সময় অনেক পিড়াপীড়িতে ঈদের পর আমানতের ১৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা দেন রাসেল। সর্বশেষ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে রাসেল আমাকে চন্দনাইশ থেকে তাঁর বাড়ি চকরিয়া উপজেলার বদরখালীতে ডেকে আনে। এদিন সন্ধ্যার আগে আমি রাসেল এর বাড়িতে পৌঁছলে কিছু বুঝে উঠার আগেই বাড়ির দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর রাশেদুল ইসলাম রাসেল, তাঁর ভাই মিজান, তাদের বাবা ছৈয়দ আহমদ কীসের টাকা দিয়েছো বলে হাঁকা বকা ও অশালীন গালিগালাজ করে। আমাকে আটক করে লোহার রড, কাঠের বাটাম ও হাতুড়ি দিয়ে সর্বশরীরে পিটিয়ে থেঁতলে দিয়েছে।

আহত সেলিম উদ্দিন বলেন, প্রতারক রাসেল তাঁর বাড়িতে আটকিয়ে আমাকে মারধর করার সময় আমার পকেটে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা, ২২ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় টানা তিনঘন্টা পর তাদের বাড়ির জিন্মিদশা থেকে আমি বাইরে আসতে সুযোগ পাই। পরে পরিচিত কিছু মানুষের সহায়তায় আমি চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিই।

বাড়িতে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনের এ ঘটনায় আহত সেলিম উদ্দিন বাদি হয়ে গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) চকরিয়া থানায় হামলাকারী প্রতারক রাশেদুল ইসলাম রাসেল, তাঁর ভাই মিজান, তাদের বাবা ছৈয়দ আহমদ ও মাতা জান্নাতুল ফেরদৌসকে আসামি করে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন।

এজাহার পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে থানার এসআই জাকির হোসেনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

18Shares