👤 নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পরিকল্পনা প্রণয়নে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালা শেষে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য হ্যান্ড মাইক, হেলমেট ও গামবুট জুতা বিতরণ করা হয়। গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা আয়োজন করেন জার্মান সংস্থা ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফের অর্থায়নে এনজিও সংস্থা আনন্দ ও সিপ।
আনন্দ ও সিপের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ এম এ কুদ্দুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতিকুর রহমান।
সিপের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এমআর মাহমুদ, কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান-২ শফিকুল ইসলাম, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি একে জিল্লু রহমান, কৈয়ারবিল ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরুল আলম, আনন্দের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুমন পাল ও সিপের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এবং আনন্দের ট্রেনিং কর্মকর্তা ক্ল্যাসিটা ক্লারা রোজারিও প্রমুখ।
কর্মশালা শেষে উপজেলার কৈয়ারবিল ও কাকারা ইউনিয়নের ৩০জন নারীকে টেইলারিং ও ২৬জন যুবককে ইলেকট্রিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। উপকারভোগীরা ৪ মাস প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের মাঝে সেলাই মেশিন, ইলেকট্রিক সামগ্রী ও সনদ বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলায় দুটি ইউনিয়ন পরিষদের মাঝে ২০টি হ্যান্ড মাইক, ১০০টি হেলমেট ও ১০০ জোড়া গামবুট জুতা বিতরণ করা হয়।
কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ এম এ কুদ্দুছ বলেন, ‘কাকারা ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ ও কার্যক্রম পরিকল্পনা পর্যালোচনা যাচাই করা হয়। ওয়ার্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রাথমিক ঝুঁকি বিশ্লেষণ ও কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে। তা পরে সুসংগঠিত ও বাস্তবমুখী করা হয়। এই সম্মিলিত উদ্যোগে স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম বাস্তবায়নে মজবুত ভিত্তি গড়ে তোলে।’
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ‘চকরিয়া উপজেলার বুকচিড়ে মাতামুহুরি নদী বেয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বেড়ে বন্যা দেখা দেয়। এছাড়া প্রতি বছর দুর্যোগের পূর্বে, দুর্যোগের সময় ও পরর্বতী সময় তিন ধাপে প্রস্তুতি নিতে হয়। এতে ক্ষয়-ক্ষতি অনেক কমে আসে। তাই বর্ষা মৌসুমে আমাদের সর্তক থাকতে হবে।’